সফল মানুষের ব্যর্থতার গল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন ২০২৩
প্রতিটা মানুষ চাই সফল হতে। কিন্তু প্রত্যেকটা সফল মানুষের সফল হওয়ার জন্য তার পিছনে ব্যর্থতার গল্প লুকিয়ে আছে। কেউ একেবারেই সফল হননি। সেটা হতে পারে রাজনীতিবিদ, শিল্পী, গায়ক, লেখক, বিজ্ঞানী, ডাক্তার ইত্যাদি কিন্তু সেটা যাই হোক না কেন প্রায় সবাইকেই ব্যর্থতার কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে সবশেষে সফল হয়েছে। এবং এই সফল হওয়ার পেছনে প্রতিটা মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।
আজকে আমরা সফল মানুষের ব্যর্থতার গল্প জানবো। আমাদের পৃথিবীতে অনেকেই আছে যারা ছোট থেকে বড় হয়েছে এবং বড় থেকে পর্যায়ক্রমে নিম্ন পদে অধিষ্ঠিত হয়েছে। আপনি যে ধরনের বিপদ অথবা খারাপ পরিস্থিতিতে থাকেন না কেন এইসব অসাধারন সফল মানুষের ব্যর্থতার গল্প শুনলে আপনারও বিশ্বাস নিজের ভিতর দৃঢ় বিশ্বাস তৈরি হবে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক সফল মানুষের ব্যর্থতার গল্প সম্পর্কে।
বারাক ওবামা
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হলো আমেরিকা আর এই আমেরিকার দুই দুইবার প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা। তিনি সমগ্র দুনিয়ার অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর মূলে ছিলেন। কিন্তু আপনারা জানলে অবাক হবেন যে বারাক ওবামা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার মাত্র আট বছর আগে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ওই পরাজয় ছিল ভয়াবহ রকমের বাজে ওই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে আজকের বারাক ওবামা রসদ লুকিয়ে ছিল।
২০০২ সালের ভয়াবহ রাজনৈতিক বিপর্যয়ের আগে বারাক ওবামার ঝুলিতে ছিল ১৯৯৬ এবং ১৯৯৮ সালের সিলেট নির্বাচনী সফলভাবে পার হওয়ার সুন্দর অভিজ্ঞতা। এবং এই সফলতাই ডেকে আনে যখন তিনি আরো বড় মঞ্চের লোভে ওয়াশিংটন এর কংগেজমেন্ট জানিয়েছিলেন এবং ডেমোক্রেট প্রার্থী হওয়ার নির্বাচনে। কিন্তু এই অবস্থা খুবই ভয়াবহ ছিল সেই সময় মাত্র ১১% মানুষ তার নাম শুনেছে প্রার্থিতা তো দূরের ব্যাপার বারাক ওবামা কখনোই ছিলেন না তিনি খুব সহজেই বুঝলেন এটা একটা বড় ভুল হয়ে গিয়েছিল। এরপর তিনি এটিও জানতেন না যে সামনে তার জন্য আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।
এরপরে বারক ও বামা যখন ক্যাম্পেন শুরু করেন তখন তার লক্ষ্য ছিল সমাজ উন্নয়নের পলিসি তৈরি করা বাস্তব সমস্যা সমাধানের স্পেসিফিক আইডিয়া সেল করা। কিন্তু এই ক্যাম্পেইন শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যে কংগ্রেস ম্যান রাশ-র ছেলেকে রাস্তায় গুলি করে মারা হলো। বারাক ওবামা সঠিক কাজ করলেন এবং এক মাসের জন্য বিপদ আসলো অন্য দিক থেকে। ওবামার সকল ইমেজ ধলয় মিশে গেল। ব্যাপারটা এরকম দাঁড়ালো যে যখন হাভ ভোটের অভাবে আগ্নেয়াস্ত্র বিরোধী বিল ফেইল করলো তখন সিনেটর ওবামা বউ বাচ্চা সহ হাইওয়ে বিচে মাস্তি করছেন। কিন্তু সেই সময় ওবামা হলেন ইসু ওরিয়েন্টড একজন রাজনীতিবিদ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইসুতে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।
যারা রাজনীতির সাথে যুক্ত তারা বুঝবেন এরকম পরিস্থিতিতে যে কোন নেতা চাইবেন মাটির নিচে লুকিয়ে পড়তে ফলাফল পাওয়া গেল এবং ওবামা বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হলেন। আর এই পর্যন্ত ওবামা ছিলেন সাফল্য ও ব্যর্থতাই মোড়া একজন রাজনীতিবিদ। এরপর তিনি যা করলেন তাই ছিল আসলে আজকের বারাক ওবামা বানানোর মূল। এরপরে একটা ব্যর্থ ক্যাম্পেইনের পর বারক ওবামা তার মেসেজের পরিবর্তন আনলেন এবং পলিসি নির্ভর কথাবার্তা থেকে সরে এসে চেষ্টা করতে থাকেন সুন্দর ভবিষ্যতের একটা সামগ্রিক ছবি আঁকতে।
এরপরে আস্তে আস্তে তার মেসেজ সমস্ত জায়গায় প্রচার হতে থাকল এবং পরিশেষে 2002 এ এসে বারাক ওবামা সিনেটর নির্বাচিত হলেন এর কিছুদিন পরে সেন্ট্রাল রাজনীতিতে যুক্ত হন ২০০৪ সালে ইউনাইটেড স্টেটস সিনেট নির্বাচনের মাধ্যমে। এরপর যখন ২০০৬ সালে বারাক ওবামা লিখলেন দ্য ইউডিসিটি অফ হোক যেটা আসলে ইউনাইটেড স্টেট এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রার্থিতা ঘোষণার মূল হিসেবে কাজ করেছিল।
আব্রাহাম লিংকন
আব্রাহাম লিংকন ১৮০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি আমেরিকার 16 তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আমেরিকার সর্বকালের সেরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে ধরা হয়। যখন আব্রাহাম লিংকন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তখন সেই সময়ে দাসদের জুলুম নির্যাতনের শিকার হতে হতো। কিন্তু সেই সময় আব্রাহাম লিংকন আমেরিকায় দাসদের স্বাধীনতা লাভের পেছনে তার অবদানই ছিল সবচেয়ে বেশি। আর এই জন্য আব্রাহাম লিংকন রাজনীতি ও খ্যাতির দিক থেকে পৃথিবীর ইতিহাসে সফলতম মানুষদের মধ্যে একজন।
আব্রাহাম লিংকন একদিন এই আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারে নাই। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য তার শুরুর দিকটা অনেক ব্যর্থতার মাধ্যমে পার হয়েছে এবং অনেক কষ্টের জর্জরিত সময় রয়েছে। আব্রাহাম লিংকনের বয়স যখন ২৩ বছর সেই সময় তার চাকরি চলে যায় এবং একই বছরে তিনি প্রথম নির্বাচনে পরাজিত হয়। এবং 29 বছর বয়সে হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ এর সদস্য হওয়ার জন্য নির্বাচন করে এবং সেই নির্বাচনীয় হেরে যায়।
এরপরে ১৯৪৮ সালে মাত্র 39 বছর বয়সি আব্রাহাম লিংকন ওয়াশিংটনের জেনারেল ল্যান্ড অফিসের কমিশনার হওয়ার জন্য নির্বাচন করে এবং সেখানেও পরাজিত হয়। এরপর 49 বছর বয়সে সিনেটর হওয়ার জন্য যখন নির্বাচনে দাঁড়ায় সেখানেও শোচনীয়ভাবে পরাজিত হতে হয়। কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো যে এত ব্যর্থতার পরও তিনি রাজনীতি ছেড়ে না দিয়ে বারংবার চেষ্টা করে গিয়েছে। কিন্তু অবশেষে ১৮৬১ সালে ৫২ বছর বয়সে তিনি আমেরিকার 16 তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হওয়ার পূর্বে সকল কাজই ছিল তার ব্যর্থতায় জর্জরিত। এবং পরিশেষে এই ব্যর্থতাই তার জীবন বদলে দিয়ে নতুন করে ইতিহাস গড়ে।
আরিয়ানা হাফিংটন
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্লক গুলোর মধ্যে হাফ পোস্ট অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। যার পূর্বের নাম ছিল দা হাফিংটন পোস্ট। ভাবতেই অবাক লাগে যে এর প্রতিষ্ঠাতা আরিয়ানা হাফিংটন যিনি কিনা অনলাইন জগতে লেখক হিসাবে উজ্জ্বলতম একটি নক্ষত্র। কিন্তু তিনি একসময় পরপর তিন ডজন প্রকাশকের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। হাফিংটনের দ্বিতীয় বই তার এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার অনেক আগেই তিনি প্রকাশ করতে চেয়েছিল এবং সেটা প্রকাশ হবার আগে একবার নয় দুইবার নয় টানা ৩৬ বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। হাফিংটন এর পোস্টগুলো শুরুর দিকে তেমন কোন সফল ছিল না এরপর যখন প্রথম ব্লকটি চালু করা হয় নেতিবাচক রিভিউ দিয়ে একে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল এর মানে এবং কার্যকারিতা নিয়ে শোনা গিয়েছিল অনেক নেতিবাচক মন্তব্য। কিন্তু তাদের এই সকল ব্যর্থতাকে পিছনে ফেলে বিশ্বের অন্যতম সফল একটি ব্লগের মালিক হন।
আকিও মরিতা
আকিও মরিতার নাম হয়তো অনেকেই জানে না। কিন্তু সকলেই সনি কোম্পানির নাম জানে। আজকে আপনাদের অবগত জন্য জানানো হচ্ছে যে এই সনি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে আকিও মরিতা। যখন এই সনি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে তখন এই কোম্পানি থেকে শুধুমাত্র একটি পণ্য তৈরি হতো সেটি হলো ভাত রান্না করার রাইস কুকার। কিন্তু এই রাইস কুকারে রান্না করা খুবই কষ্টসাধ্য হচ্ছিল এবং সহজেই তাপ পুড়ে যেত যার ফলে এই পণ্যটি বিক্রির অযোগ্য হয়ে যায় কিন্তু এতকিছু হয়ে যাওয়ার পরেও মরিতা ভেঙে পড়েনি। সেই ব্যর্থতা তাকে দমাতে পারেনি যার ফলে আজকে সবার মুখে মুখে সনি কোম্পানির নাম। বর্তমানে সারা বিশ্বে সনি কোম্পানির সাফল্য অর্জন করছে।
আলবার্ট আইনস্টাইন
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সফল বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন হলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। তিনি এতটাই সফল যে বিজ্ঞানী শব্দটা মাথায় আসলেই বেশিরভাগ মানুষ তার কথা ভাবেন। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা মেধাবী হিসেবে তাকে মানা হয়। এই জার্মানি একটা সময় পর্যন্ত তাকে গর্ধভ মনে করা হতো। কোন কিছুতেই তিনি ভালো ছিলেন না। এমনকি কথা বলাতে তার ৪ বছর সময় লেগেছিল। পড়াশোনার দিক দিয়েছিল একেবারেই কম মেধাবী। মাত্র ১৬ বছর বয়সে স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় শোচনীয়ভাবে ফেল করেন।
ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় প্রতিটি বিষয়ে তিনি এতই বাজে রেজাল্ট করতেন যে একাধিকবার পড়াশোনা বাদ দেওয়ার চিন্তা তার মাথায় এসেছিল। এরপরে মারা যাওয়ার সময় তার বাবার একমাত্র দুঃখ ছিল যে এই গর্ধব ছেলে জীবনে কিছুই করতে পারবেন না। মূলত বাবার এই কথাটি আলবার্ট আইনস্টাইনের বহুদিন ধরে মনের ভিতরে কষ্ট চেপে রেখেছিল। এরপরে যখন কোন কাজ পাই না তখন তিনি অনেকটা বাধ্য হয়েই ইন্সুরেন্স সেলস ম্যান এর কাজ বেছে নেয়। তখনকার সময়ে কোন কাজ না পারলে মানুষ এই ধরনের কাজ করতেন।
এর ২ বছর পর আলবার্ট আইনস্টাইন প্রেটেন্ট অফিসে চাকুরীর সুযোগ পান। এবং সেখানে নতুন ডিভাইস পেটেন্ট করার আগে পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু একটা সময় এই মানুষটাই পৃথিবীর চেহারা পাল্টে দিয়েছিল। এবং একই সাথে ডাল বেন নিয়ে তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের বেশ কয়েকটি মূলসূত্র তৈরি করে গেছেন। এছাড়া তিনি এতটাই সফল ছিলেন যে বিজ্ঞানে তার যথেষ্ট অবদানের জন্য তিনি নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। এবং আলবার্ট আইনস্টাইন প্রমাণ করে গেছেন যে চেষ্টা এবং অদম্য বিশ্বাস থাকলে সমস্ত কিছু সবার দ্বারা সম্ভব।
জে কে রাওলিং
মানুষ কেবল বই লিখে জে কে রাওলিং এর মত ধনী হতে পারেনি। কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাসে লেখকদের মধ্যে কেবলমাত্র জে কে রাওলিং বই লিখে বিলিওনেয়ার হতে পেরেছে। জে কে রাওলিং এর লেখা হ্যারি পটার সিরিজের বইগুলো পৃথিবীর ইতিহাস সবচেয়ে বেশি বিক্রয়কৃত বুক সিরিজ। আর এই লিখা বই সিরিজ থেকে বানানো সকল সিনেমাগুলো ব্লকবাস্টার হিট হত। কিন্তু আপনি কি জানেন কত সংগ্রামের পর হ্যারি পটার প্রকাশিত হয়েছিল?
জে কে রাওলিং পড়াশোনার দিক দিয়ে খুব মেধাবী ছিলেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে টেস্ট দিয়ে প্রতিকার হওয়ার পর এক্সিটর ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। পড়া শেষ করার পর সেই সময় কোন ভালো কাজ না পেয়ে পর্তুগালে চলে যায়। পর্তুগালে গিয়ে সেখানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং এক বদর আগে কে বিয়ে করেন কথায় কথায় গায়ে হাত তুলত। 1993 সালে ৩৮ বছর বয়সে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তিনি আবার ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন এবং বোনের সাথে থাকতে শুরু করলেন। এরপর তার মাথায় একটি চিন্তা আসলো যে জীবনে যা কিছু করেছেন সবকিছুতেই চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
এরপর তিনি মানসিক রোগীতে পরিণত হয়, এমনকি আত্মহত্যার ও চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু একমাত্র মেয়ের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি এরপরে আবার হেরি পটারের বই লিখতে শুরু করেন আর এভাবেই কেটে যায় দুই বছরের অধিক সময়। সবশেষে 1995 সালে একটু একটু করে হ্যারি পটারের প্রথম বইটি লেখা শেষ করে ফেলেন। এই বইটি লেখার মাধ্যমে তিনি তার জীবনের মোড় ঘোরাতে চেষ্টা করেন। সেই সময় রাওলিং তার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন অতিবাহিত করছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে সেই বইটির ১৪ টি প্রকাশনা প্রত্যাখ্যান করেন।
অবশেষে 1996 সালে ব্লুমসবারি নামের ছোটখাটো একটি প্রকাশনা বইটি প্রকাশ করার জন্য রাজি হয়। এরপর ১৯৯৭ সালে হ্যারি পটারের প্রথম বইটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পুরো বিশ্বে হৈচৈ করতে থাকে। জে কে রাওলিং অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে এবং ভাবেন এত ব্যর্থতার পরও চেষ্টা করার ফলে তিনি অবশেষে সুফল পেয়েছেন। এরপর থেকে একে একে আরো বই প্রকাশিত হতে থাকে এবং একই সাথে বের হতে থাকে সুপারহিট সিনেমা। অবশেষে ২০০০৪ সালে রাওলিং পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম সাহিত্যিক হিসেবে বই লিখে বিলিয়ন ডলারের মালিক হন।
টমাস আলভা এডিসন
পৃথিবীতে এমন কোন শিক্ষিত মানুষ নেই যে টমাস আলভা এডিসনের নাম সম্পর্কে জানেনা। টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাল্ব, এবং চলচ্চিত্র, অডিও রেকর্ডিং, এন্ড স্ক্রিপ্টেড টেলিগ্রাফ সিস্টেম, আধুনিক ব্যাটারি এমন নানারকম জিনিস আবিষ্কার করেন। ১৮৪৭ সালে আমেরিকার হাইওয়েতে জন্ম নেওয়া এই জিনিয়াসের ছোটবেলায় স্কারলেট ফিভার নামে একটি জটিল অসুখে আক্রান্ত হয়। যার ফলে তিনি কানে প্রায় শুনতেন না তার স্কুল জীবন ছিল মাত্র 12 সপ্তাহের এর কারণ হলো তার পড়াশোনার পারফরম্যান্স এতটাই খারাপ ছিল যে স্কুলে তাকে আর রাখতে চাইছিল না।
যার কারণে স্কুল থেকে দেওয়া চিঠিতে লেখা ছিল যে টমাস পড়াশোনায় খুবই অমনোযোগী এবং তার মেধা ও ভালো নয় এই ধরনের দুর্বল ছাত্রকে স্কুলে রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। সাধারণ ছেলেদের চেয়ে অনেক বেশি এত বেশি মেধাবী ছাত্রকে পড়াশোনার ক্ষমতা সাধারণ স্কুলের নেই। কাজেই তাকে যেন বাসায় রেখে পড়াশোনা করানো হয়। পরে মায়ের থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস এবং কথার জন্য জটিল জটিল সব বিষয় নিয়ে পড়তে শুরু করেন। আর তার মায়ের আর্থবিশ্বাসের কারণেই তিনি কোন কিছুতেই ব্যর্থতাকে মেনে নিতেন না। যখন তিনি প্রথমবার বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করেন তখন এই আবিষ্কারের পূর্বে প্রায় 10000 বার তার এক্সপেরিমেন্ট ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু তার দৃঢ় আত্মবিশ্বাস এর কাছে তার ব্যর্থতা কোন স্থান ছিল না। তার কারণ হলো ছোটবেলায় তার মা তার মনে এই বিশ্বাস ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন যে তার কাছে কিছুই অসম্ভব নয়।
এরপর যখন অনেক বছর অতিবাহিত হতে থাকে তারপর সেই চিঠিটা টমাস আলভা এডিসন খুঁজে পাই তার মা সেটি লুকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল সে সময় তার মা বেচে ছিল না মারা গিয়েছিল। চিঠিটা পড়ে টমাস আলভা এডিসন বুঝতে পারেন এবং নিজের ডাইরিতে লিখেন টমাস আলভা এডিসন এ ছিলেন একজন মেধাহীন শিশু কিন্তু একজন অসাধারণ মায়ের অনুপ্রেরণায় সে হয়ে ওঠে যুগের সেরা মেধাবী বিজ্ঞানী বা আবিষ্কারক।
বিল গেটস
একটা সময় বিল গেটস পৃথিবীর সেরা ধনী ব্যক্তি কিন্তু বর্তমান সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি অ্যামাজনের জেফ বেজোস। কিন্তু এখনকার সময়ে অনেকেই এখনো মনে করেন যে বিল গেট পৃথিবীর সেরা ধনীতম মানুষ। কিন্তু তবে বিল গেটস অনেক বছর ধরে বিশ্বের এক নম্বর ধনী ছিলেন অন্য কেউ তার জায়গা দখল করতে পারে এটা অনেকেই ভাবতেই পারে না। কিন্তু বর্তমান সময়ে তার জায়গা অন্য কেউ নিয়ে নিয়েছে। বর্তমান কম্পিউটারের বিপ্লবের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল বিল গেটসের। কোম্পানি থেকে বানানো অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ কম্পিউটার মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকে।
পৃথিবীর বেশির ভাগ কম্পিউটার এখনো তার কোম্পানির সফটওয়্যার ব্যবহার চলে। কিন্তু আপনি যিনি অবাক হবেন যে বিল গেটসের প্রথম প্রজেক্ট খুবই অপমানজনকভাবে ব্যর্থ হয়েছিল এরপর মাইক্রোসফট এর কোফ ফাউন্ডার এবং বাল্যবন্ধু পল এলেন এবং বিল গেটস মিলে ( traf O data ) নামে একটি মেশিন তৈরি করেন যেটি ট্রাফিক কাউন্টার গুলো থেকে ডাটা সংগ্রহ করে সরকারি ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারদের তা সরবরাহ করে। এমনিতেই কাজটি হাতে করতে হতো।
এই যন্ত্রটির ওপেনিং এ স্বয়ং শিয়াটলের ট্রাফিক সুপারভাইজার এসেছিলেন। কিন্তু যন্ত্রটি চালু করার পর কোন ভাবেই কাজ করেনি। এমন লজ্জা আর অপমান বিল গেটসের জীবনে আর আসেনি তবে সেখানেই বিল গেট থেমে যাননি এই ব্যর্থ থাকে কাজে লাগিয়ে বিল গেট স আর তার বন্ধু মিলে পরে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন এবং সফল হয়।
নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url