দেশি কবুতর পালন পদ্ধতি - কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক, আপনারা কি দেশি কবুতর পালন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে ঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকে আপনাদের মাঝে দেশি কবুতর পালন পদ্ধতি এবং কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানানো হবে। অনেকে আছে যারা সঠিক পদ্ধতি জেনে না থাকার কারণে কবুতর পালনে ব্যর্থ এবং লোকসানের মুখে পড়ে। এজন্য দেশি কবুতর পালন পদ্ধতি সম্পর্কে জানব।

দেশি কবুতর পালন পদ্ধতি - কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

অনেকেই রয়েছে যারা শখের বসে কবুতর পালন করে থাকে। এখনকার সময়ে আমাদের বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবেও কবুতর পালন করছে। কিন্তু এই কবুতর শখের বসে পালন করে থাকলেও পরবর্তীতে এটি বাণিজ্যিকভাবে রূপ নেয়। আর এই কবুতর পালনের ফলে শিক্ষিত বেকারত্ব দূর হচ্ছে। কবুতর পালন স্বল্প পুঁজিতে স্বল্প জায়গাতে করা সম্ভব।

দেশি কবুতর পালন পদ্ধতি

কবুতর পালন করতে হলে আপনার অবশ্যই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এবং প্রবল ইচ্ছা রাখতে হবে। কেবল তখনই আপনি কবুতর পালন করতে এবং লাভবান হতে সক্ষম হবেন যখন কবুতর পালন করার সঠিক পদ্ধতি আপনার জানা থাকবে। আপনারা যারা শুধু আমিষের চাহিদা বা মাংসের চাহিদা পূরণের জন্য পালন করতে চাইলে ১০০০/২০০০ টাকা দিয়ে শুরু করতে পারবেন। আর যদি আমিষের পাশাপাশি ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করাই ভালো।

আমাদের বাংলাদেশ দেশি বা গোলা কবিতর পালন পদ্ধতি খুবই সহজ। ছোট থেকে বড় সবাই স্বল্প পুঁজিতে এই কবুতর পালন করতে সক্ষম হবে। এছাড়া কবুতর পালন করতে বেশি পরিচর্যা করা লাগেনা। কবুতর পালনে তাদের খাদ্য ব্যবস্থা এবং খরচ অতি নগণ্য। এর মূল কারণ হলো তারা বাসায় খাবার পাশাপাশি বাইরে চারণভূমিতে ঘুরে ঘুরে খেয়ে বেড়ায়। দেশি কবুতর পালন পদ্ধতি এর অন্যতম কারণ হলো এরা অত্যন্ত রোগ প্রতিরোধী।

দেশি কবুতরের ঘর নির্বাচন

দেশী কবুতর পালন পদ্ধতি এর প্রধান কাজ হল ঘর নির্বাচন বা তৈরি করা। দেশি কবুতর পালনের জন্য প্রথমে আপনাকে কাক, বিড়াল, অন্যান্য মাংসসি প্রাণী, বৃষ্টির পানি এসব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত স্থানে ঘর নির্মাণ করতে হবে। আপনি চাইলে বাড়ির ছাদে কিংবা দেওয়ালে সালা তৈরি করার মাধ্যমে কবুতরদের জন্য সুন্দর ঘর স্থাপন করতে পারেন। আপনি চাইলে মিস্ত্রী দ্বারা ছোট ছোট কবুতরের খোপ তৈরি করতে পারেন। এবং আপনাকে মনে রাখতে হবে প্রতি জোড়া দেশি কবুতর পালনের জন্য দুইটি করে আলাদা ঘর বরাদ্দ রাখতে হয়। দুটি ঘর রাখার মূল কারণ হলো অনেক কবুতর রয়েছে যারা বাচ্চা থাকা অবস্থায় আবার নতুন করে ডিম পাড়ে অথবা পূর্বের বাচ্চা বড় হওয়ার ফলে পুরুষ-কবুতর ও নারী কবুতর এক খোপের মধ্যে থাকতে পারে না যার জন্য আলাদা খোপ রাখার প্রয়োজন পড়ে।

সবচেয়ে উত্তম হলো ঘরের মধ্যে কবুতরের খোপ বানিয়ে সেখানে পালন করা। কবুতরের ঘরে ঢালাই ছাদ দিলে আরও বেশি ভালো হয়। একটি বিষয় সবসময়ই মাথায় রাখতে হবে ঘরটি এমন জায়গায় স্থাপন করতে হবে যেখানে সূর্যের আলো এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে। আপনারা চাইলে ঘরের দেওয়ালে ভেন্টিলেটর স্থাপন করতে পারেন। অনেকের দেশি কবুতর পালন পদ্ধতি এর সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে অনেক কবুতর নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

দেশি কবুতর এর পরিচর্যা

দেশি কবুতর পালন পদ্ধতি এর আরেকটি উপায় হল কবুতর এর পরিচর্যা করা। দেশী কবুতর যদি মুক্তচরণ ভূমিতে খাবার অভ্যাস না থাকে তাহলে অবশ্যই খাবারের সঠিক গুণগত মান এবং পুষ্টিগুণ বজায় রেখে বাসায় খেতে দিতে হবে। এবং অবশ্যই খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম এবং সর্বোপরি ফসফরাস বিদ্যমান থাকতে হবে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার আকাশে ওড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া মাংসাশী প্রাণী এবং মানুষ থেকে একটু দূরে ও নিরিবিলি স্থানে থাকার জায়গা করে দিতে হবে। অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় যে কবুতর কবুতর একত্রিত হওয়ার ফলে মারামারি করে ডিম ভেঙে ফেলে এবং বাচ্চাকে রক্তাক্ত করে এমন কবুতর থেকে অন্য কবুতর আলাদা করতে হবে বা ছাঁটাই করতে হবে।

খাঁচায় কবুতর পালন পদ্ধতি

দেশি কবুতর পালন পদ্ধতি এর আরেকটি মাধ্যম হলো খাঁচায় কবুতর পালন করা। খাঁচায় কবুতর পালন করতে হলে অবশ্যই পূর্বের নিয়মে খাঁচার মাপ তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ ৫০/৫৫/৩০ সেন্টিমিটার করে ভাষার শিখগুলো দেড় ইঞ্চি থেকে ২ ইঞ্চি দূরত্বের দিতে হবে। তাদের মাথা বাহিরে বের করতে সক্ষম হবে। তবে একটা জিনিস অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সেটা হল খাঁচার মধ্যে খাবার কিংবা পানি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, এর মূল কারণ হলো খাঁচার ভেতরে খাবার কিংবা পানি দিলে সেই খাবার পা দিয়ে নষ্ট করে ফেলে এবং পানি ফেলে দেয় যার জন্য বাহিরে রাখতে হবে। আর এই সকল খাঁচা বাহিরেও রাখা যায় কিংবা ঘরের ভেতরে ও রাখা যায়। তবে খাঁচা যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো ও বাতাস পায় এমন জায়গায় স্থানান্তরিত করতে হবে। একটা বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে খাঁচা যেখানেই স্থাপন করা হোক না কেন সেটি যেন বৃষ্টির পানি খাঁচার ভেতরে না প্রবেশ করে। আপনারা চাইলে খাঁচার ভেতরে মোটা কাঠের তক্তা বিছিয়ে দিতে পারেন যাতে করে কবুতর যেন ঠিকমতো দাঁড়াতে এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারে।

কবুতরের বিভিন্ন জাত

গৃহপালিত অথবা পোষা পাখপাখালী দের মধ্যে অন্যতম পাখি হচ্ছে কবুতর। সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষ শখের বসে কবুতর পালন করে আসছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনেকেই কবুতরকে বেকারত্ব দূর করার জন্য কবুতরকে বাণিজ্যিকভাবে পালন করছে। আর এই কবুতর পালন করে দিন দিন অনেকেই সফলতা পাচ্ছে। কবুতরের বিভিন্ন জাত রয়েছে। পৃথিবীতে প্রায় ৬০০ জাতের বেশি কবুতর রয়েছে। সবচাইতে উন্নত জাতের কবুতর হল জালালী কবুতর। তাছাড়া মাংস উৎপাদনের জন্য হোয়াইট কিং, সিলভার কিং, কাওরা, হোমার, গোলা, ইত্যাদি। এছাড়া আমাদের দেশে সিরাজি কবুতর, ময়ূরপঙ্খী কবুতর, লাহোরী, গিরিবাজ অন্যতম।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের কবুতর পালন করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ ফেন্সি জাতের কবুতর, রেসার, ঝরনা ছাটিং কবুতর, লাল গিরিবাজ, ইন্ডিয়ান বোম্বাই কবুতর, লোটন কবুতর, মুক্ষি কবুতর, রাজশাহী গিরিবাজ কবুতর, সিলভার, র্ডাক কবুতর, গোলা, দেশি গিরিবাজ প্রধানতম।

কবুতর চেনার উপায়

আমরা অনেকেই কবুতর কিনতে গেলে হিমশিম খেয়ে যায়। এজন্য দেশি কবুতর পালন পদ্ধতি সম্পর্কে পূর্বে ধারণা থাকলে বা আমাদের এই আর্টিকেল পড়া থাকলে অবশ্যই আপনি কবুতর চিনতে ভুল হবেনা। এজন্য আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য এই আর্টিকেলটি সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। কবুতর চেনার উপায় জানা না থাকলে কবুতর কিনতে গিয়ে ঠকতে হয়। আগেকার সময়ে দেখা যেত কেবলমাত্র গ্রামীণ সমাজে কবুতর পালন করা হত। কিন্তু বর্তমান সময়ে গ্রামীণ সমাজকে অতিক্রম করে শহরে জীবনে কবুতর পালনের প্রসার ঘটেছে। আর তাই শহরের মানুষও এখন কবুতর পালন করে থাকে। পৃথিবীর ইতিহাসে কবুতর পালন বেশ প্রাচীন। তাহলে আর দেরি না করে চলুন কবুতর চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিই।

১. ভালো কবুতরের চোখ গুলো সব সময় উজ্জ্বল হয়

২. নাক পরিষ্কার থাকে এবং সর্দি থাকে না

৩. গায়ের পালক গুলো সুন্দর হয়

৪. কবুতরের ডানাগুলো সুন্দর শরীরের সাথে লেপটে থাকে

৫. অবশ্যই যে সকল কবুতরের ডানাগুলো ঝুলে থাকে সেগুলো কিনা থেকে বিরত থাকুন

৬. কবুতরের গায়ে কোনরকম আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা সেই দিকে লক্ষ্য রাখুন

৭. কবুতরের পায়ের আঙ্গুল গুলো সব কিছু ঠিক আছে কিনা দেখে নিন

৮. অনেক সময় কবুতর কিনতে গেলে কবুতরকে অত্যাধিক ঝিমাতে দেখা যায় এমন কবুতর ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন

৯. যে সকল কবুতরের পায়ুপথে মল লেগে থাকে সেগুলো কিনবেন না

১০. অনেক সময় কবুতরের ঠোঁট ভাঙ্গা থাকে সেদিকে খেয়াল রেখে ঠোঁট দুইটা আছে কিনা দেখে নিবেন

নর ও মাদি কবুতর চেনার উপায়

আমরা গ্রামীণ ভাষায় সাধারণত পুরুষ হাঁস, ও কবুতরকে নর এবং নিয়ে হাঁস ও কবুতরকে মাদী বলে থাকে। আর এই নর ও মাদি কবুতর চিনার মূলত ৩টি পদ্ধতি রয়েছে। তাহলে আর দেরি না করে পদ্ধতি ৩টি সম্পর্কে আলোকপাত করা যাক।

ডিম

যে ডিমগুলো দেখবেন যে লম্বাটে এবং বড় আকার তাহলে বুঝে নিবেন সেগুলো থেকে কেবলমাত্র পুরুষ কবুতরের জন্ম হবে। সেগুলো মাদি কবুতরের জন্ম হয়।

প্রাপ্ত বয়স্ক

যখন কবুতর প্রাপ্তবয়স্ক হয় তখন নর ও মাদি খুব সহজেই চেনা যায়। তার মূল কারণ হলো যখন নর কবুতরকে মাদি কবুতরের সামনে রাখা হয় তখন নর কবুতর ডাকবে এবং মাদি কবুতর নর কবুতরের চারদিকে ঘুরতে থাকবে। অনেক ক্ষেত্রে নর কবুতরের গলা এবং ঠোঁট মাদি কবুতরের চেয়ে মোটা হয়ে থাকে। নর কবুতরের শরীর অনেক সময় নোংরা দেখায় কিন্তু মাদি কবুতরের শরীর সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখায়। এছাড়া নর ও মাদি কবুতর চেনার বড় মাধ্যম হলো সূর্য ডোবার সময় নর কবুতর ঘরে ঢোকার জন্য ছটফট করতে থাকে কিন্তু এদিকে মাদী কবুতরটা শান্ত থাকে।

বয়স গণনা

কবুতরের বয়স গণনার মাধ্যমে নর ও মাদি চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

কবুতরের খাবার

কবুতরের খাবার এবং পানি স্বাস্থ্যগত উন্নতি ঘটায়। প্রতিনিয়ত সঠিক পুষ্টিবিদ্যমান খাবার খেতে দিতে হবে। তাহলেই কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব। কবুতরের খাদ্যে প্রধানত স্বেতসার, চর্বি, আমিষ ও ভিটামিন থাকা আবশ্যক। প্রতিটি কবুতর দৈনিক অন্তত ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম পর্যন্ত খাবার খেয়ে থাকে। বিশেষ করে কবুতর গম, মটর, খেসারি, তিল, ভুট্টা, জব, ধান, চাউল, মাসকালাই সহ নানা ধরনের খাদ্য খেয়ে থাকে। আপনারা চাইলে কবুতরকে এই সকল পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি পরিষ্কার পানি খাওয়াতে হবে।

আমরা অনেকেই দেশি কবুতর পালন পদ্ধতি এর সঠিক নিয়মাবলী না জানার কারণে কবুতরের যত রোগ হয়ে থাকে তার অধিকাংশ রোগই খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। এজন্য কবুতর পালনের সময় খাবার ও পানির প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখা উচিত। অনেক সময় কবুতরকে ধান খেতে দিতে দেখা যায় কিন্তু আমরা জানি না যে ধান খেলে কবুতরের বাচ্চার ক্ষতি হয়। কারণ ধানের শরীরে ধারালো কণা থাকে যা ছোট্ট বাচ্চার পাকস্থলী এবং গলাতে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। কিছু খাবার আছে যেগুলো খাওয়ার ফলে কবুতর সবুজ করতে দেখা যায় অনেকেই এই মলত্যাগ করাকে রোগ বলে মনে করে কিন্তু আসলে এটি কোন রোগ নয়। পরিশেষে কবুতরকে তার সঠিক পুষ্টি বিদ্যমান এবং খাদ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে কবুতরকে খেতে দেওয়া উত্তম।

কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা

আমাদের দেশে কবুতরের বিভিন্ন রোগ হতে দেখা যায়। আর তাই এই সকল রোগ যেমন দেশী কবুতরের হতে দেখা যায় ঠিক তেমনি বিদেশি প্রজাতির কবুতরের মধ্যেও রোগ দেখা যায়। আর এ সকল রোগ কবুতরের খাদ্য ও পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে তাই সকলের সদা সতর্ক থাকা উচিত যেন সঠিক নিয়ম মেনে কবুতরকে খেতে দেওয়া। অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঠান্ডা এবং গরমের কারণে রোগ হতে দেখা যায়। তাহলে চলুন কবুতরের কিছু রোগ সম্পর্কে জানি।

রানীক্ষেত রোগ

  • রানীক্ষেত রোগ হলে কবুতরের শরীরে তীব্র জ্বর হয়
  • খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়।
  • অধিক ঝিমাতে থাকে
  • দ্রুত ওজন হ্রাস পায়
  • কয়েক দিন পর কবুতর মারা যায়

চিকিৎসা

রানীক্ষেত রোগ হলে কবুতরের বাচ্চার বয়স যখন সাত দিন ঠিক সেই মুহূর্তে বাচ্চার দুই চোখে দুই ফোটা করে গোলানো টিকা দিতে হবে। প্রথমবার এই টিকা দেওয়ার ২১ থেকে ২২ দিন পরে আবারো দুই চোখে একই নিয়মে টিকা দিতে হবে।

বসন্ত

  • শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বর
  • খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত থাকা
  • অত্যধিক ঝিমনি দেওয়া

চিকিৎসা

কবুতরের এই রোগটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এই রোগ হলে পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট দিয়ে দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে

কলেরা

  • এই রোগ হলে পাতলা বা তরল পায়খানা হয়
  • পায়খানা সবুজ রং ধারণ করে
  • আক্রান্ত হওয়ার চার-পাঁচদিনের মধ্যে বেশিরভাগ কবুতর মারা যায়

চিকিৎসা

এই রোগের ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। আপনারা চাইলে উপজেলা পানিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে এই ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে এই রোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url