গর্ভধারণের ১০ টি প্রাথমিক লক্ষণ - প্রেগনেন্সি পরীক্ষার সহজ উপায়

  

গর্ভধারণকালে নারীদের বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায়। এজন্য আপনাদের মাঝে গর্ভধারণের ১০ টি প্রাথমিক লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করব। কারণ অনেকেই সঠিক লক্ষণ বুঝতে পারে না যার ফলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এজন্য আগে থেকে গর্ভধারণের ১০ টি প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে জেনে থাকলে পরবর্তী সময়ে কোন সমস্যা হবে না।

গর্ভধারণের ১০ টি প্রাথমিক লক্ষণ - প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার সহজ উপায়

বিয়ের পর নারীদের শরীরে নানা ধরনের শারীরিক পরিবর্তন দেখা যেতে শুরু করে। এবং বিয়ের নতুন অবস্থায় অনেক কিছুই বুঝতে পারে না যার ফলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। আর তাই আপনাদের জন্য গর্ভধারণের ১০ টি প্রাথমিক লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করব।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভধারণের ১০ টি প্রাথমিক লক্ষণ - প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার সহজ উপায়

৫ লক্ষণে বুঝে নিন আপনি অন্তঃসত্ত্বা কিনা

এখনকার সময়ে অল্প বয়সে নারীদের বিয়ের কারণে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যদিও এখনকার সমাজ আধুনিক তবুও অনেক কিছু অজানা থাকার কারণে অনেক ভুল করে থাকে। এজন্য নিরাপদের স্বার্থে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। অনেকেই আছে যারা গর্ভবতী হয়েছে কিনা সেটি জানার জন্য ডাক্তারের কাছে গিয়ে থাকে কিন্তু জেনে খুব খুশি হবেন এখন ডাক্তারের কাছে না গিয়েও ঘরে বসে নিশ্চিন্তে পরীক্ষা করতে পারেন আপনি অন্তঃসত্তা কিনা

১. প্রেগনেন্সি স্ট্রিপঃ আপনি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য একনকার সময়ে ওষুধের দোকানে প্রেগন্যান্সি পরিক্ষার স্ট্রিপ পাওয়া যায়।সেটা দিয়ে পরিক্ষা করলে সঠিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ দ্রুত গর্ভবতী হওয়ার উপায় - গর্ভবতী হওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম

২. মাথাঘোরা,বমিঃ সাধারনত গর্ভবতী হলে সকালে ঘুম থেকে উঠলে শরীর দুর্বল এবং মাথাঘোরা শুরু করে।

৩. রক্তপাতঃ পিরিয়ডের সময় দেখা যায় খুব অল্প পরিমানে রক্তপাত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য এটাই হতে পারে গর্ভধারনের লক্ষণ।

৪. মাসিকঃ প্রতিটা নারীর প্রাকৃতিকভাবে মাসিক হয়ে থাকে। এবং এই মাসিক নির্দিষ্ট সময় পর পর হয়ে থাকে। তবে যদি না হয় তাহলে েএটি গর্ভধারনের লক্ষণ হতে পারে

৫. স্তনের পরিবর্তনঃ কেই যদি গর্ভধারন করে তাহলে তার স্তনের পরিবর্তন হয়ে থাক। স্তনের আকার বৃদ্ধি পায় স্তনে ব্যাথা করে ও স্তনের নিপল গাঢ় আকার ধারন করে।

গর্ভধারণের ১০ টি প্রাথমিক লক্ষণ

আপনি কি গর্ভবতী হয়েছেন? কিন্ত বুঝতে পারছেন না। আর গর্ভধারণের ১০ টি প্রাথমিক লক্ষণ নিয়ে আপনাদের জানাবো। কেউ যদি গর্ভবতী হয় কিন্তু বুঝতে পারছি না তাহলে গর্ভবতী হওয়ার কিছু লক্ষণ বা উপসর্গের ওপর ভিত্তি করে বোঝা যায়। আর এটি সাধারণত পিরিয়ডের ২-১ সপ্তাহর মাঝে অনেক লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। তবে এইসব লক্ষণ কেবল 10 জনের মধ্যে সাত জনের গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহের মধ্যে এ লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়।

অনেকেই আছেন যারা মাসিকের হিসাব রাখে না এবং কখন হবে সেই সম্পর্কেও অবগত নয়। ঠিক এমন সময় আপনি হয়তো সময় মতো মাসিক না হওয়ার কারণ নিয়ে চিন্তিত। তখন যদি আপনি নিম্নোক্ত ১০ টি লক্ষণ আপনার ভেতর দেখতে পান তাহলে বুঝে নিবেন আপনি গর্ভবতী। তাহলে চলুন গর্ভধারণের দশটি প্রাথমিক লক্ষণ গুলো জেনে নিই।

আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা - গর্ভবতী মায়ের নয় মাসের খাবার তালিকা ২০২৩

১. খাবারের প্রতি অনীহা

২. মন মেজাজ বিগড়ে থাকা, বা অস্বাভাবিকতা

৩. পেট ফুলতে থাকা

৪. স্তনে ব্যথা অনুভব করা, এবং আকারে বড় হওয়া

৫. শারীরিক ক্লান্তি

৬. মনের পরিবর্তন

৭. বারবার প্রসব হওয়া

৮. পিরিয়ড মিস হওয়া

৯. ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং

১০. ভ্যেজিনাল ডিসচার্জ

এগুলো যদি আপনার শরীরে উপসর্গ প্রকাশ পেয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি বুঝে নিবেন গর্ভবতী হয়েছেন। এছাড়া আরো কিছু টেস্ট করে কনফার্ম হতে পারবেন। তাহলে আমরা গর্ভধারণের ১০ টি প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে অবগত হলাম।

আপনি গর্ভবতী কিনা জানুন ঘরোয়া ৫ উপায়ে

অনেকেই গর্ভবতী হয়েছে কিনা সেটি জানার জন্য নানা ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমরা ইতিমধ্যেই গর্ভধারণের দশটি প্রাথমিক লক্ষণ জেনেছি। যখন একজন নারী অন্তঃসত্ত্বা হয় তখন তার মনে সুখের আনন্দ বইতে থাকে। কিন্তু অনেক নারী আছে যারা গর্ভধারণ হওয়ার প্রথম কয়েক মাস পার হওয়ার পরও বুঝতে পারেনা সে গর্ভবতী কিনা। আর এই সমস্যা মূলত তাদের হয়ে থাকে যাদের অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে।

আর যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় তারা বুঝতে পারে না যে গর্ভবতী হয়েছে কিনা আর এই জন্যই অসাবধানতার কারণে নানা জটিল সমস্যা হয়। অনেক নারী রয়েছে যারা ডাক্তারের কাছে টেস্ট করাতে যেতে চাই না তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের পোস্টটি ঘরোয়া উপায়ে প্রেগনেন্সি বোঝার উপায় জানানো হবে। এজন্য আপনি চাইলে ঘরোয়া ভাবে আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করাতে পারেন যেমনঃ

আরো পড়ুনঃ স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায় - মাসে কতবার স্বপ্নদোষ হওয়া স্বাভাবিক

১. চিনিঃ চিনি আমাদের রান্নাঘরের অতি পরিচিত একটি উপাদান। কিন্তু আমরা অনেকেই চিনির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানি না। আপনি চাইলে চিনি দিয়ে পেগনেন্সি টেস্ট করাতে পারেন। শুনে হয়তো অবাক লাগছে আপনাদের কিন্তু এটাই সত্য চিনি দিয়েও প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো সম্ভব যদি সেই সম্পর্কে আপনি জেনে থাকেন। আর এজন্য আপনাকে প্রথমে এক টেবিল চা চামচ চিনির সাথে সকালের প্রথম ইউরিনের সাথে মিশাতে হবে। এরপরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং লক্ষ্য করুন ইউরিন এর সাথে চিনি মিশে যাচ্ছে কিনা যদি মিশে যায় তাহলে আপনি নিশ্চিত হবেন আপনি গর্ভবতী নন। কিন্তু যদি ইউরিন এর সঙ্গে চিনি নাম মিশে এবং ইউরিন জমাট বাঁধতে থাকে তাহলে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী।

২. টুথপেস্টঃ আপনি চাইলে টুথপেস্ট দিয়েও গর্ভবতী হয়েছেন কিনা সে বিষয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। আপনি প্রথমে একটি পরিষ্কার কন্টেনারে আপনার সকালের প্রথম ইউরিন এর সঙ্গে অল্প কিছু টুথপেস্ট মিশিয়ে নিবেন। এবং মিশানোর পর কিছুক্ষণ রেখে দিন এরপর আপনি যদি দেখেন যে ইউরিন নীল রং ধারণ করছে তাহলে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী

৩. ভিনেগারঃ ভিনেগারের সাথে সকালের প্রথম ইউরিন মিশিয়ে নিবেন এরপর যদি এটি রং পরিবর্তন হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী। আর যদি রং অপরিবর্তিত থাকে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি অন্তঃসত্ত্বা নন।

প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার সহজ উপায়

অনেকেই এখন আধুনিক সভ্যতাই এসে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম পদ্ধতি ব্যবহার করছে। কোন নারী গর্ভবতী হলেন কিনা নির্ভুলভাবে জান নেয়ার জন্য ঔষধের দোকান থেকে পেগনেন্সির কিট ব্যবহার করে থাকে। আর এই কিটের মাধ্যমে খুব সহজে নির্ভুলভাবে জানা যায়। কিন্তু অনেকেই এই প্রেগন্যান্সি কিট ব্যবহার করতে জানে না। আর এই জন্য প্রেগনেন্সি পরীক্ষার সহজ উপায় আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।

যেইসব মহিলাদের পিরিয়ড নিয়মিত তারা পিরিয়ড হওয়ার তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ পর এই পরীক্ষা করতে হবে। আর এই প্রেগন্যান্সি কিটের সঠিক ব্যবহার জানা প্রয়োজন। আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা সেটি জানার জন্য প্রথমে একটি প্রেগনেন্সি কীটের প্রয়োজন। এরপর সকাল বেলার প্রথম প্রস্রাব দিয়ে এই পরীক্ষা করতে হবে তাহলে সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হবে। এবং এই প্রেগনেন্সি কিট কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তার সকল কিছু প্যাকেটের গায়ে লেখা রয়েছে

এরপর পরীক্ষার ফল বুঝতে হলে অবশ্যই স্ট্রিপে একটি রঙিন রেখা বা লাইন এলে আপনাকে বুঝতে হবে প্রেগনেন্সি নেগেটিভ এবং আপনি অন্তসত্তা নন। কিন্তু স্ট্রিপে যদি পাশাপাশি দেখা যায় তাহলে পজেটিভ এমনকি হালকা রেখা হলেও পজেটিভ ধরা যাবে তাহলে বোঝা যাবে আপনি অন্তঃসত্ত্বা। আর এইভাবে প্রেগনেন্সির সঠিক পরীক্ষা করা সম্ভব। তবে যদি রঙিন রেখা দেখা না যায় তাহলে সেই পরীক্ষা বাতিল করে আবার আরেকটি স্ট্রিপ দিয়ে করতে হবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url