দ্রুত বীর্যপাত রোধের উপায় - দ্রুত বীর্যপাত রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা

এখনকার সময়ে পুরুষদের দ্রুত বীর্যপাত হয়ে থাকে। আর তাই অবশ্যই আপনাকে দ্রুত বীর্যপাত রোধের উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। আর এই সমস্যাকে ইংরেজি ভাষায় প্রি ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বলে। যারা দ্রুত বীর্যপাত রোধের উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আজকে তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।

দ্রুত বীর্যপাত রোধের উপায় - দ্রুত বীর্যপাত রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা

আজকে দ্রুত বীর্যপাত রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা এবং দ্রুত বীর্যপাত আর রোধের উপায় নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব তাই অবশ্যই ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। এখনকার সময়ে অনেকেই রয়েছে যারা স্ত্রীর সাথে সহবাসের সময় স্ত্রীর চাহিদা পূরণ হবার আগেই দ্রুত বীর্যপাত করে। এর ফলে দাম্পত্য জীবনে নানারকম সমস্যা সৃষ্টি হয়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ দ্রুত বীর্যপাত রোধের উপায় - দ্রুত বীর্যপাত রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা

দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান

শুধু বাংলাদেশেই নয় অন্যান্য দেশেও অনেক পুরুষ রয়েছে যারা দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা নিয়ে লজ্জার কারণে কারো সঙ্গে শেয়ার করতে চাই না এমনকি ডাক্তারের কাছেও যায় না। আস্তে আস্তে এই সমস্যাটি পরবর্তী সময়ে বড় আকার ধারণ করে এই জন্য আপনাকে অবশ্যই দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান সম্পর্কে জানতে হবে একই সাথে দ্রুত বীর্যপাত রোধের উপায় সম্পর্কেও সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে তাহলেই এই রোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।

দ্রুত বীর্যপাত মূলত যাদের শরীরে ডায়াবেটিস বা অন্য ধরনের মানসিক অস্থিরতা বা দুশ্চিন্তা বেশি থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি লক্ষণীয়। অনেক সময় শরীরে সেরাটোজেনিকের িক মাত্রা জন্মগতভাবে কিংবা কোন কারণে কমে গেলেও এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ইজাকুলেশনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অনেক পুরুষ রয়েছে যারা স্ত্রী সহবাসের সময় মনের ভিতর একটা চিন্তা পোষণ করে এই যে মিলনের সময় লিঙ্গ ঠিকমতো উথিত হচ্ছে কিনা বা কতক্ষন উথিত থাকবে তা নিয়ে। আর এর কারণেই মূলত দ্রুত বীর্যপাত হয়ে থাক।

আরো পড়ুনঃ পর্নোগ্রাফি থেকে মুক্তির উপায় - পর্নোগ্রাফি থেকে বেরিয়ে আসার দোয়া ২০২৩

দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে যা করতে হবে তা হল আপনার শরীরে অধিক জ্বলো আবেগ থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। আপনি এবং আপনার সঙ্গিনী দুজনাকে সম্পূর্ণরূপে বুঝতে হবে। আপনি যদি বিয়ের আগে হস্তমৈথুন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সে অভ্যাসটি বাদ দিতে হবে এবং স্ত্রী সহবাস করার প্রথমে লিঙ্গ যোনিপথে প্রবেশ না করিয়ে চুমু, জড়িয়ে ধরা, আলিঙ্গনের মাধ্যমে শুরু করুন। দীর্ঘ সময় ধরে আপনার সঙ্গিনীকে বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করার মাধ্যমে উত্তেজিত করুন। এছাড়া হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমেও এই রোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।

অকাল বীর্যপাতের কারণ

বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি তিনজনের একজন পুরুষ দ্রুত বীর্যপাতের মত সমস্যায় ভুগছে। কিন্তু এটি একটি সাধারণ সমস্যা সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। পুরুষের বয়সের তারতম্যের ওপর নির্ভর করে বীর্য ধারণ ক্ষমতা। তবে নিয়মিত যদি যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশের পূর্বে বা অববাহিত পরেই অপ্রতিরোধ্য ভাবে বীর্যপাত হয়ে যায় তাহলে তা দ্রুতস্খলন সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়। এবং এটি একটি যৌন সমস্যা কারণ এর ফলে পুরুষ প্রয়োজনীয় সময় ধরে অঙ্গ চালানোর সুখ থেকে বঞ্চিত হয় এবং চরম দুশ্চিন্তায় ভোগে।

দ্রুত বীর্যপাত রোধের উপায় সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে আগে অকাল বীর্যপাতের কারণ সম্পর্কে জানতে হবে। পুরুষের স্বাভাবিক বীর্যপাতের সময় ৮-১০ মিনিট কিন্তু যখন এই সময়ের আগেই দুই এক মিনিটের বীর্যপাত হয়ে যাচ্ছে সেই ক্ষেত্রে এটি একটি অকাল বীর্যপাতের কারণ। এমন বীর্যপাত যদি প্রতিনিয়ত সহবাসের ক্ষেত্রে ঘটে তাহলে এটি একটি সমস্যা এবং এটার সঠিক চিকিৎসা নেওয়া উচিত। অকাল বীর্যপাত বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। সেগুলো হলঃ

মানসিক কারণ

অনেক পুরুষ হস্তমৈথুন করার সময় লোকজনের দৃষ্টি আড়ানোর জন্য তৈরি করে চরম পুলকে পৌঁছানোর জন্য দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলে। নিজের ভিতর অপরাধ বোধ করা যার কারণে জনপ্রিয় সময় হঠাৎ করেই বীর্যপাত হয়ে থাকে। অকাল বীর্যপাতের কারণ হিসেবে দুশ্চিন্তা একটি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে যৌন কাজ ঠিকমতো সম্পূর্ণ করতে পারে না যার কারণে অকাল বীর্যপাত ঘটে। এছাড়াঅকাল বীর্যপাতের কারণ হিসেবে রয়েছে।

  • হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা
  • থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
  • মূত্রনালীর প্রদাহ
  • বংশগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
  • নারকোটিক্স বা মাদকদ্রব্য সেবন
  • জৈবিক কারণ
  • বিভিন্ন হরমোন জনিত সমস্যা
  • হৃদরোগ
  • শারীরিক দুর্বলতা
  • নিজের ভিতরে সঠিক যৌন শিক্ষার অভাব
  • নিজের মধ্যে সহবাসের ভুল ধারণা পোষণ করা
  • কম বয়সে সহবাস করা

দ্রুত বীর্যপাত রোধের উপায়

এখনকার সময়ে যৌন মিলন বা সহবাস করার ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাত ঘটে এমন পুরুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শারীরিকভাবে চরম তৃপ্তি পাওয়ার আগেই যদি শুক্রাণু বেরিয়ে যায় তাহলে হতাশ হতে হয়। আর এই সমস্যার সমাধানের জন্য অনেক পুরুষ বিভিন্ন ধরনের বাজার জাতকৃত জেল, স্প্রে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এই সম্পর্কের সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে প্রতিনিয়ত এগুলো ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে কারণ এগুলোতে বিভিন্ন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

তাহলে এখন প্রশ্ন আসে কিভাবে বীর্যপাত রোধ করা সম্ভব? যারা এই সকল প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করে থাকেন কিন্তু লজ্জার খাতিরে কারো সামনে বলতে পারেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল তাই ধৈর্য সহকারে দ্রুত বীর্যপাত রোধের উপায় জানুন। ইতিপূর্বে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ব্রিটিশ পুরুষরা নানা ধরনের প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করে দীর্ঘ সময় শারীরিক সম্পর্ক করে থাকে। আপনারাও যদি দ্রুত বীর্যপাত রোধের উপায় হিসেবে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করেন তাহলে অবশ্যই আপনারাও দীর্ঘ সময় যৌন মিলন করতে পারবেন।

অবস্থান বদল

যৌন মিলনের সময় অবশ্যই একই পজিশনে না করে বিভিন্নভাবে পজিশন চেঞ্জ করে যৌন মিলন করুন। যৌন মিলনের সময় একজন আর নারীর পা ছড়িয়ে শোয়াকে মিশনারি পজিশন বলে এই পদ্ধতিতে পুরুষ তার সঙ্গীর উপরে শুয়ে যৌন মিলন করে থাকেন এতে করে দ্রুত বীর্যপাত ঠেকানো সম্ভব হয় না এজন্য আপনাকে সমাধান হিসাবে আপনাকে নিচে এবং আপনার সঙ্গিনীকে উপরে রেখে মিলন করলে বীর্যপাত দেরিতে হবে। এছাড়া দ্রুত বীর্যপাত ঠেকাতে ফেস অফ ও স্পুন পজিশনে যৌন মিলন করা।

হস্তমৈথুন

যারা মিলন করে তাদের তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হয়। আর তার মূল কারণ হলো বীর্যতে ভরে থাকা অন্ডকোষগুলো। এর ফলে কয়েকটা স্ট্রোক করলেই বীর্য বেরিয়ে যায়। এজন্য আপনি যদি মিলনের কিছুক্ষণ আগে হস্তমৈথুন করে বীর্য বের করেন তাহলে দীর্ঘ সময় যৌন মিলন করতে পারবেন।

কনডম ব্যবহার

কনডম ব্যবহারের ফলে আপনার দ্রুত বীর্যপাত হওয়া থেকে রোধ করবে। এর কারণ হলো কনডমের গায়ে লুব্রিকেটিং পিচ্ছিল কারক পদার্থ থাকায় ঘর্ষণ কম হয়। তবে একটা বিষয় লক্ষণীয় তা হল বেশি পাতলা কনডম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই মোটা কনডম ব্যবহার করতে হবে।

কার্যকর চিন্তা

শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর আগে অনেক সময় অনেকেই নানারকম নেকেট মুভি বা পর্নোগ্রাফি দেখে থাকে। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার রাস্তাঘাটে, বাজে অথবা ট্রেনে চোখের সামনে কোন নারীর শরীর দেখলেই সেই নেকেট কল্পনা শুরু করে। এ ধরনের সকল কোন চিন্তা মাথা থেকে ছেঁটে ফেলতে হবে এ সকল চিন্তার কারণে দ্রুত বীর্যপাত হয়ে থাকে। আর তাই যৌন মিলনের সময় অন্য কোন নারী নিয়ে চিন্তা থেকে বিরত থাকুন তাহলে অবশ্যই দীর্ঘ সময় স্ত্রী সহবাস করতে পারবেন। এতক্ষণ আমরা দ্রুত বীর্যপাত রোধের উপায় সম্পর্কে জানলাম এখন আমরা দ্রুত বীর্যপাত রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

দ্রুত বীর্যপাত রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা

দ্রুত বীর্যপাত রোধে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া বেশ কিছু চিকিৎসা রয়েছে যেগুলো আপনি নিয়মিত মেনে চললে অবশ্যই এই থেকে মুক্তি পাবেন। এই রোগের চিকিৎসার জন্য হোমিওপ্যাথিতে কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন। আপনি যদি ঘরোয়া ভাবে এই রোগ প্রতিকার করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে তা হল-

আরো পড়ুনঃ যৌনশক্তি বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায় - পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধির ১০ উপায়

আপনি স্ত্রী সহবাস করার সময় ধীরগতিতে যৌন পথে লিঙ্গ প্রবেশ করান। কয়েক মিনিট সহবাস করার পর কিছু সময়ের জন্য বিরতি নিন, এরপর আবার সঞ্চালন শুরু করুন। আপনি নিয়মিত লিঙ্গে কালোজিরার তেল মালিশ করুন এছাড়া রাতে দুধ ও রসুন খান তাহলে ভালো ফল পাবেন। আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালে কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে রাখা ছোলা এবং পানি খেতে পারেন।

দ্রুত বীর্যপাত রোধে মধুর উপকারিতা

আমরা অনেকেই ইতিপূর্বে জেনেছি যে মধু শুধু খেতে মিষ্টি নয় এতে রয়েছে হাজারো রোগের ঔষধ। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধুকে ঔষুধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং নানা ঔষধি গুণ। আর এই মধু শুধু বল কারক নয় এটি সুস্বাদু এবং উত্তম খাদ্য নির্যাস। মধু যৌন সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে নিয়মিত পান করুন।

যাদের ঋতুচাপ অনিয়মিত তারা নিয়মিত করার জন্য একটি পাত্রে এক চা চামচ তুলসী পাতার রস, সমপরিমাণ মধু এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে দিনে ২ বার করে দুই তিন মাস নিয়মিত সেবন করলে উপকার পাওয়া যাবে। অনেকের হঠাৎ করে দাঁতের ব্যথা বাড়ে ঠিক সেই সময় মধুর সাথে তুলা ভিজিয়ে ব্যথার স্থানে লাগিয়ে দেয় তাহলে দ্রুত সমাধান পাওয়া যায়। এছাড়া মধুতে অনেক উপকারিতা গুণ রয়েছে যেমনঃ

  1. মধু মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে থাকে
  2. ওজন কমায়
  3. পানি শূন্যতা দূর করে
  4. বুদ্ধি বাড়ে
  5. হৃদরোগে মধু বেশ উপকারী
  6. শরীরে ব্যথা নিরাময় করে
  7. কোন কিছু সহজেই হজম করতে সাহায্য করে
  8. শরীরে শক্তি যুগিয়ে থাকে মধু
  9. যৌন দুর্বলতা কমায়
  10. রক্ত পরিষ্কার করে
  11. হাঁপানি দূর করে
  12. গ্যাস্টিক ও আলসার প্রতিরোধ করে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url