সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি - সহবাসের ৭ টি উপকারিতা

 

আপনি কি সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর চিন্তা নেই কারণ আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র সহবাসের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানানো হবে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নয়।

সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি - সহবাসের ৭ টি উপকারিতা

আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব সহবাসের ৭ টি উপকারিতা সম্পর্কে। বেশির ভাগ পুরুষই শারীরিক সুখ পাওয়ার জন্য যৌন মিলনে বা সহবাসে লিপ্ত হয়। কিন্তু অনেকেই জানেনা সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পর্কে। নিয়ম মেনে যৌন মিলন বা সহবাস করলে স্বাস্থের জন্য উপকারি।

পোস্ট সূচীপত্রঃ সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি - সহবাসের ৭ টি উপকারিতা

সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি

মহান আল্লাহ তায়ালা নারীকে সৃষ্টি করেছে পুরুষের চোখে ভালো লাগার জন্য। মহান আল্লাহতালা দুনিয়ার সকল নিয়ামতের মধ্যে অন্যতম একটি নিয়ামত হল স্বামী স্ত্রীর নিয়ামত। আর তাই একজন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্ত হলো যৌন মিলন করা বা সহবাস করা। সহবাস হলো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আজকে আমরা সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পর্কে জানব তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক

১. আপনি যখন স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে যাবেন ঠিক তখনই আপনাকে সঠিক নিয়ত করতে হবে।

২. সহবাসের সময় অবশ্যই স্ত্রীকে আলিঙ্গন এবং চুম্বন করতে হবে এতে করে ভালোবাসা গভীর হয়। রাসূললুল্লাহ স্ত্রীগনদের আলিঙ্গন ও চুম্বন করতেন

আরো পড়ুনঃ স্ত্রীকে দ্রুত তৃপ্তি দেওয়ার উপায় - বিছানায় স্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত করার কৌশল

৩. স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন করার সময় আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করা।

৪. স্ত্রীর সাথে যে কোনো ভাবেই সহবাস করা যায়। দারিয়ে, বসে, শুয়ে, কাত হয়ে, সামনের দিক থেকে, পিছন থেকে যেমনভাবে ইচ্ছে কিন্তু অবশ্যই সেটা হতে হবে যোনিপথে।

৫. আল্লাহ তায়ালা স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যেমন সোয়াবের কাজ করেছেন ঠিক তেমনি সর্তক্য ও করেছেন যেন কেউ মলদ্বারে সহবাস না করে। নবীজি বলেছেন যে ব্যক্তি স্ত্রীর মলদ্বারে সহবাস করে আল্লাহ তায়ালা ওই ব্যক্তির দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকানো থেকে বিরত থাকে।

৬. যখন স্ত্রীর পিরিয়ড চলে সেই সময় স্ত্রী সহবাস করা হারাম।

৭. কেউ চাইলে স্ত্রীর সাথে একাধিক সহবাস করতে পারবে কিন্তু যতবার স্ত্রী সহবাস করবে ঠিক ততবারি অজু করে নেওয়া মুস্তাহাব।

সহবাসের ৭ টি উপকারিতা

সমাজে নারী পরুষ দাম্পত্য জবনে যৌন মিলনের ফলে চরম সুখ অনুভব করে থাকে যা অন্য কোথায় পাওয়া সম্ভব না। কিন্তু বর্তমান সময়ে নারী-পুরুষ উভয়ে ইসলামিক নিয়ম মেনে সহবাস না করার ফলে দিন দিন সহবাসের ইচ্ছা কমে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ যদি ইসলামের শরিয়া মোতাবেক সহবাস করত তাহলে সহবাসের ৭ টি উপকারিতা পাওয়া সম্ভব হতো।

আরো পড়ুনঃ ইসলামে সহবাসের নিয়ম - যেসব রাতে সহবাস করা উচিত নয়

ইসলামে মানব জীবনের সকল বিধান দেওয়া রয়েছে। ঠিক তেমনি রয়েছে সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি। এক গবেশনায় দেখা গিয়েছে যে ভোর বেলায় সহবাসে করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও নানা উপকার হয়। ভোর বেলা সহবাস করলে শরীরে অ্যান্টিবডি গঠন করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে েএবং রক্ত চলাচল সঠিক রাখে।

  • যেসব নারীরা প্রায় যৌন মিলন করবে তাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়।
  • নিয়িমিত যৌন মিলনের ফলে দুশ্চিন্তা রোধ করে থাকে।
  • সপ্তাহে ১/২ বার নিয়মিত যৌন মিলন করলে শরীরে বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাডায়
  • ওজন কমানোর জন্য সহবাস করা উচিত
  • নিয়মিত যৌন মিলনের ফলে শরীরের অঙ্গ পতঙ্গ ভালোভাবে কাজ করে। এছাড়া আয়ুকাল বাড়িয়ে থাকে
  • নিয়মিত শারীরিক মিলনের ফলে মাথা ও হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা দূর হয়।
  • মানসিক শান্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত যৌন মিলন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এজন্য নিয়মিত সহবাসের অভ্যাস গড়ে তুলুন

ইসলামে কোন কোন দিন সহবাস নিষিদ্ধ

ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পর্কে ইতিপূর্বেই জেনেছি। তবে সহবাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো এই যে স্বামী উপরে থাকবে এবং স্ত্রী থাকবে নিচে। প্রত্যেক প্রাণীর ক্ষেত্রে এই স্বাভাবিক পন্থা পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়। মহান আল্লাহ তায়ালা বিবাহের মাধ্যমে নারী পুরুষের যৌন চাহিদা পূরণ ও বংশ বৃদ্ধিতে কল্যাণকর কাজে পরিণত করেছে। এছাড়াও নারী পুরুষ বিবাহের মাধ্যমে তাদের সকল যৌন চাহিদা পূরণ করতে পারে।

ইসলামে কোন কোন দিন সহবাস নিষিদ্ধ তা হলঃ রাত্রি দ্বিপ্রহরের আগে সহবাস করা থেকে বিরত থাকুন। ফলবাগান এবং গাছের নিচে যৌন মিলন করবেন না। স্ত্রীঙ্গে আলিঙ্গন করার পূর্বে সহবাসের দোয়া পড়ে নিন। এক্ষেত্রে যদি স্ত্রীর ইচ্ছে হয় তাহলে আদর ও ভালোবাসা দিবে। রবিবারে সহবাস করা যাবে না। বুধবারের রাত্রে সহবাস করবেন না, চন্দ্র মাসের প্রথম এবং ১৫ তারিখ রাতে স্ত্রী সহবাস করবেন না। বিদেশ যাওয়ার আগের রাত্রে সহবাস থেকে বিরত থাকুন, এছাড়া নাপাক শরীর থাকা অবস্থায়, উলঙ্গ হয়ে কাপড় ছাড়া অবস্থায়, যোহরের নামাজের পরে, ভরা পেটে, স্বপ্নদোষ হয়েছে পবিত্রতা অর্জন না করে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকুন।

দাম্পত্য জীবনে বিশেষ মাসায়েল

দাম্পত্য জীবন সুখময় করতে অনেকেই অনেক রকম পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। ইসলামের বিধান অনুযায়ী সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি এবং সহবাসের সাতটি উপকারিতা ইতিপূর্বেই জেনেছি এবং ইসলামে সহবাসের কিছু মাসায়েল সম্পর্কে জানব। দাম্পত্য জীবনে বিশেষ মাসায়েল গুলো হলঃ

স্ত্রীর সঙ্গে সোজা যাপন শুরু করার আগে নিয়ত সঠিক করে নিতে হবে এবং হালাল পন্থায় যৌন চাহিদা পূরণ করতে হবে। যৌন মিলন করার সময় শিশু কিংবা পশুর সামনে করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সহবাস শুরু করার পূর্বে স্ত্রীকে অবশ্যই আলিঙ্গন, চুম্বন, স্পর্শ করতে হবে। বীর্য মুছে ফেলার জন্য কাপড় অথবা টিস্যু ব্যবহার করুন। শয্যাযাপনের আগে বিসমিল্লাহ বলা। সহবাসের পূর্বে আল্লাহর কাছে ইবলিশ শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে আশ্রয় চাওয়া। সহবাসের সময় অতিরিক্ত কথা বলা থেকে বিরত থাকা তবে কেউ চাইলে রোমান্টিক কথা বলতে পারবে। সহবাসের সময় লজ্জাস্থানের দিকে না তাকানো। বীর্যপাত ঘটানোর পর স্বামীর উচিত হবে সাথে সাথে নেমে না আসা। এবং সহবাসের শেষে প্রস্রাব করে নেওয়া।

সহবাসের পরে অবশ্যই কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেওয়া উচিত তাহলে মস্তিষ্ক সজীব হয়। জুমার দিন স্ত্রী সহবাস করা মুস্তাহাব। সহবাসের কথা কারো কাছে প্রকাশ করা ইসলামে নিষিদ্ধ কারণ এটি একমাত্র স্বামি স্ত্রীর হক। পিরিয়ড চলাকালীন অবস্থায় যৌন মিলন জায়েজ নেই। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নামাজ পড়া যাবে না। এজন্য দাম্পত্য জীবন সুখময় করতে উপরোক্ত বিষয় মেনে চলুন এবং ইসলামী শরীয়া মোতাবেক জীবন গড়ুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url