ইসলামে সহবাসের নিয়ম - যেসব রাতে সহবাস করা উচিত নয়
ইসলামে মানব জীবনের সকল দিকনির্দেশনা ও বিধিবিধান রেখেছে। আর এই জন্য ইসলামের সহবাসের নিয়ম ও রয়েছে। এছাড়া রয়েছে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিলনের সঠিক সময়। ইসলামে সহবাসের নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে এই পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়তে হবে। কারণ আজকের পোস্টে ইসলামের সহবাসের নিয়ম ও যেসব রাতে সহবাস করা উচিত নয় সেই সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এই পৃথিবীতে মহান আল্লাহতালা অনেক নেয়ামত দিয়েছেন আর এই নিয়ামতের মধ্যে অন্যতম নিয়ামত হল স্বামী-স্ত্রী। আর তাই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্ত হলো যৌন মিলনে আবদ্ধ হওয়া। আর এটি শুধু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই বৈধ। এজন্য ইসলামে সহবাসের নিয়ম সম্পর্কে জানব।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ইসলামে সহবাসের নিয়ম - যেসব রাতে সহবাস করা উচিত নয়
- ইসলামে সহবাসের নিয়ম
- যেভাবে স্ত্রী সহবাস করা হারাম
- স্বামী স্ত্রী মিলনের নিষিদ্ধ সময়
- যেসব রাতে সহবাস করা উচিত নয়
- কখন সহবাস করবেন
- কতদিন পর সহবাস করা ভালো
- অধিক সহবাসে কি ক্ষতি হয়
- সহবাসে কি উপকার
- কখন সহবাস করলে বাচ্চা হয় না
ইসলামে সহবাসের নিয়ম
ইসলাম মানুষের পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। এইজন্য ইসলামে স্বামী স্ত্রীর যৌন মিলনের জন্য কিছু সঠিক নিয়ম দিয়েছে। কিভাবে সহবাস করতে হয়। কিভাবে সহবাস করলে সেটা হারাম হবে, কখন সহবাস করা নিষিদ্ধ ইত্যাদি এ সবকিছু ইসলামের সম্পূর্ণরূপে বর্ণনা করা হয়েছে। যৌন মিলনকে মধুর করতে যত রকম উপায় আছে তার সবকিছুই অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমনঃ চুম্বন, আলিঙ্গন, মর্দন ইত্যাদির মাধ্যমে স্ত্রীকে আদর করা যাবে।
দাম্পত্য জীবনে রোমান্টিক সেক্সুয়াল রিলেশন থাকা অবশ্যই জরুরী। ইসলামে সহবাসের নিয়ম হলো তোমাদের স্ত্রী তোমাদের ফসল ক্ষেত্র। তাই তোমরা তোমাদের ফসল ক্ষেত্রে যেভাবে গমন করতে চাও সেভাবেই পারবে। আর তোমরা নিজেদের কল্যানে উত্তম কাজ সামনে পাঠাও আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো এবং জেনে রাখ নিশ্চয়ই তোমরা তার সাথে একদিন সাক্ষাৎ করবে আর মুমিনদেরকে সুসংবাদ পাঠাও।
আরো পড়ুনঃ ইসলামে নারীর মর্যাদা - ইসলামে নারীর পর্দা ও বিধানসমূহ
ইসলামে সহবাসের নিয়ম হিসেবে সঠিক কোন বিধি-নিষেধ নেই যে যেমন ভাবে সহবাস করতে পারবে। যেমনঃ দাঁড়িয়ে, বসে, ছুঁয়ে, কাত হয়ে, চিত হয়ে, উপুর হয়ে, সামনে থেকে, পিছন থেকে যার যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই করতে পারবে। তবে প্রধান শর্ত হলো এটি যোনিপথে করতে হবে।
যেভাবে স্ত্রী সহবাস করা হারাম
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে স্ত্রীর সাথে পায়ুপথে সহবাস করা হারাম করেছে। হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে যে, যে ব্যক্তি মলদ্বারে সঙ্গম করে আল্লাহ তার দিকে দয়ার ও রহমতের দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়। তাই পথ বা মলদ্বারে সহবাস করে ফেলে সেই ব্যক্তি গুনাহগার হয়ে যায়। আর যদি কেউ ভুলক্রমে মলদ্বারে সহবাস করে ফেলে তাহলে তার জন্য তওবা পাঠ করতে হয়। এবং পায়ুপথে সহবাস করলে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যেভাবে স্ত্রীর সহবাস করা হারাম যেমনঃ রোজা থাকা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা হারাম। তবে এটি মনে রাখতে হবে যে রমজান মাসে রাত্রিবেলায় সহবাস করা হারাম নয়।
পিরিয়ডের সময় স্ত্রী সহবাস করা হারাম। যখন কোন স্ত্রী ঋতুবর্তী অবস্থায় থাকে তখন তার যৌন মিলন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের নিকট আসো যেভাবে আল্লাহতালা তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর এই জন্য আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই তওবাকারীদেরকে ভালোবাসে।
আরো পড়ুনঃ ইসলামে নারীর পর্দা - ইসলামে নারীর শিক্ষা
এছাড়াও যে সময় স্ত্রী সহবাস করা নিষিদ্ধ তা হলঃ ইতেকাফের সময়, হজের ইহরামবাদ অবস্থায়, স্ত্রী গর্ভপাতের চল্লিশ দিন সময় পর্যন্ত স্ত্রী সহবাস নিষিদ্ধ। উল্লেখিত সময় গুলো ছাড়া অন্য যেকোনো সময় স্ত্রী সহবাস করা যাবে।
স্বামী স্ত্রী মিলনের নিষিদ্ধ সময়
ইসলামে শরিয়া মোতাবেক কিছু সময় আছে যেগুলো থেকে স্বামী স্ত্রীর মিলনের নিষিদ্ধ সময় হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ইতিমধ্যে আমরা ইসলামের সহবাসের নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানব যেসব অবস্থায় ও সময়ে সহবাস নিষিদ্ধ।
১. ফরজের ওয়াক্তে
২. মাগরিবের ওয়াক্তে
৩. মসজিদে বসে সহবাস করা নিষেধ হয়েছে
৪. প্রকাশ্য স্থানে
৫. খুব ক্ষুধার্ত অবস্থায় সহবাস করা নিষেধ
৬. দূর দেশের যাওয়ার নিয়ত করলে রাতে সহবাস নিষেধ
৭. দাঁড়িয়ে সহবাস করা নিষেধ
৮. পায়ুপথে মিলন নিষেধ
৯. হায়েজ- নেফাজের সময় সহবাস নিষেধ
১০. দুর্বল শরীরে যৌন মিলন নিষেধ
১১. মনে খুব রাগ কিংবা শোক থাকলে সহবাস নিষেধ
১২. ঝড় তুফান বজ্র পড়ার মতো সময়ে সহবাস নিষেধ করেছেন
১৩. সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের সময় সহবাস করা নিষিদ্ধ
যেসব রাতে সহবাস করা উচিত নয়
ইসলামে সহবাসের নিয়ম আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি কিন্তু ইসলামে আরো কিছু বিধান রয়েছে যেগুলো আস্তে আস্তে জানতে পারবো এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য সহকারে পোস্টটি পড়তে হবে। যেইসব রাতে সহবাস করা উচিত নয় তার মধ্যে তিনটি রাতে স্ত্রী সহবাস করা থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে।
১. মাসের প্রথম রাতে
২. মাসের মাঝ রাতে
৩. মাসের শেষ রাতে
আর এই তিন সময়ে সহবাসের নিষিদ্ধ সময়, মাত্রাতিরিক্ত সহবাস, যে রাতে সহবাস অনুচিত, স্বাস্থ্য, উল্লেখিত তিন রাতেই শয়তানের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার বর্ণনা পাওয়া যায়। আর এই তিন রাতে সহবাস মাখরুহ হওয়ার ব্যাপারে হযরত আলী রা. হযরত হুরাই রা. বেওয়ায়েত রয়েছেন।
কখন সহবাস করবেন
আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে ইসলামের সহবাসের নিয়ম কি। দাম্পত্য জীবনে সহবাস বা যৌন মিলনের গুরুত্ব অধিক। কারণ আল্লাহ তায়ালা নারী পুরুষকে একে অপরের পরিপূরক হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তাই এখন আমরা জানবো কখন সহবাস করা উচিত এবং আপনি কখন সহবাস করবেন?
নারী ও পুরুষ কেবল রীতিশুদ্ধ উপায়ে বিয়ের মাধ্যমে সহবাসের প্রকৃত অধিকার অর্জন করে থাকে। ধর্মীয় দৃষ্টিতে বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক মিলন হল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং পাপাচার ও চরম গুনাহের কাজ। বিবাহ করব শারীরিক মিলন করে থাকে তারা বিবাহ পরবর্তী যৌন জীবনে অসুখী হয়। যে সকল নর নারী তারা বিবাহ পরবর্তী জীবনে সুখী এবং স্বাস্থ্যের জীবন যাপন পার করে থাকে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারী যেকোনো দিন বার রাতে যে কোন মুহূর্তে সহবাস করতে পারে পুরুষরা সাধারণত রাতের বেলায় সেক্স এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু নারীরা রাতের বেলায় সেক্স করতে আগ্রহী বেশি থাকে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো যে সহবাস করার জন্য স্বামী স্ত্রীর উভয়কে সমান আগ্রহ থাকতে হবে।
কতদিন পর সহবাস করা ভালো
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী যখন শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে ফুরফুরা ও সুন্দর অবস্থায় থাকে তখনই তাদের মধ্যে শারীরিক যৌন মিলন হতে পারে। যেমন ক্ষতির কারণ আবার কম সহবাস ও শরীর ও মনের পক্ষে ততটাই ক্ষতি হতে পারে। এই জন্য কতদিন পর সহবাস করা ভালো সেই সম্পর্কে বিবাহিত দম্পতিদের জানা আবশ্যক এবং একই সাথে ইসলামের সহবাসের নিয়ম সম্পর্কেও জানতে হবে।
সবেমাত্র বিবাহ করেছে এমন দম্পতিরা সাধারণত মাসে তিন থেকে চার বার মিলিত হয়। কিন্তু যদি অন্ততপক্ষে 11 বার মিলিত হওয়া যায় এক মাসে তবে সদ্য বিয়ে করা দম্পতি মানসিকভাবে অনেক বেশি সুস্থ থাকে। যেসব দম্পতি সপ্তাহে অন্তত দুইবার সহবাস করছেন তাদের হৃদপিণ্ড অনেক সুস্থ ও ভালো থাকে। যাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছর তারা সপ্তহে তিন থেকে চার বার সহবাস করতে পারেন। এবং যাদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছর তারা সপ্তাহে দুইবার যৌন মিলন করতে পারে।
অধিক সহবাসে কি ক্ষতি হয়
মাত্রাতিরিক্ত কোন কিছুই কল্যাণ কর নয়। তাই মাত্রাতিরিক্ত সবকিছু পরিহার করতে হবে। সুস্বাদু ও মজাদার বস্তু খাওয়ার মাঝে কখনোই অতিরিক্ত খাবার ঠিক নয়। আর ঠিক তেমনি অধিক সহবাসে পুরুষ ও মহিলা যুবক-যুবতীরা তাদের যৌবনকালে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করে সহবাসের মাধ্যমে অথবা অন্য কোন উপায়ে এই অমূল্য সম্পদ নষ্ট করে ফেলছে। অধিক সহবাস করলে যৌন মিলনের ক্ষমতা কমে যায় এবং অধিক সহবাসের কারণে গর্ভধারণের শক্তিও হারিয়ে ফেলার বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায় - হস্তমৈথুন করলে কি হয় ২০২৩
মাত্রাতিরিক্ত সহবাস করার ফলে জীবন নষ্ট বা ধ্বংসের পথে চলে যায়। আর তাই একসময় তাদের অবস্থা এমন হয় যে মাথায় হাত দিয়ে কেঁদেও কোন কুল কিনারা পাওয়া যায় না। তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখে সহবাস করা সবচেয়ে উত্তম। আর এটি যদি না করা হয়ে থাকে তাহলে ভবিষ্যৎ জীবন হুমকির সম্মুখীন হবে।
সহবাসে কি উপকার
মানসিক উৎকণ্ঠা বা স্ট্রোক থেকে আসে উচ্চ রক্তচাপ যা হৃদপিন্ডের পক্ষে চরম ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। কিন্তু যারা নিয়মিত সহবাস করে থাকে তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। আর তাই সহবাসে কি উপকার এটা আমরা বুঝতে পারলাম। এছাড়া সহবাসে কি উপকার তার নিম্নরূপ নিচে দেওয়া হলঃ
নিয়মিত সহবাস করার ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়, ওজন কমায়, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, বার্ধক্য কমিয়ে দেয়। শেষ করা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে মিলিত হওয়ার বাসনা কমে যায়। আমাদের একটা কথা অবশ্যই যারা প্রয়োজন যে রাতের প্রথম অংশে সহবাসের দ্বারা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সে সন্তান অল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করার সম্ভাবনা থাকে। আবার রাতের শেষ প্রহরে সহবাস করার দ্বারা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সন্তান সুস্থ সবল ও ধর্মভীরু হয়ে ওঠে।
কখন সহবাস করলে বাচ্চা হয় না
বিবাহিত প্রতিটি নারীর ক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন সব সময় মনে ঘুরপাক খায় যে মাসিকের কত দিন আগে বা পরে সহবাস করলে বাচ্চা হয় না। আর এই প্রশ্ন হরহামেশাই সবার মনে জাগে। পিরিয়ডের রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার দিন থেকে প্রথম ৭ দিন ও শেষ সাত দিন সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। আর তাই ওই সময়কে সহবাসের নিরাপদ সময় হিসেবে ধরা হয় তবে এই শর্ত কেবল সেই সকল নারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যারা তাদের পিরিয়ড নিয়মিত ২৮ দিন বা নিয়মিত ২৬ দিন থেকে ৩১ দিন অন্তর অন্তর হয়ে থাকে। তাহলে আমরা বুঝতেছি যে কখন সহবাস করলে বাচ্চা হয় না। আর এদের ক্ষেত্রে রজস্রাব শুরু হওয়ার দিনকে প্রথম দিন ধরে গুনতে থাকলে মোটামুটি ১২ থেকে ১৯ তম দিনের ডিম্বানু নির্গমন হয়ে থাকে।
ডিম্বাণু ওভিউলেশনের পর প্রায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা জীবিত থাকে এবং স্ত্রীর জননতন্ত্রের স্থলের পর শুক্রান তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকতে সক্ষম। আর এই জন্য পিরিয়ডের ৭ থেকে ২১তম দিন পর্যন্ত সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি পরিমাণে থাকে। পিরিয়ডের বাকি দিনগুলো প্রথম থেকে সপ্তম ও 21 তম দিন থেকে পুনরায় রজস্রাব শুরু হওয়ার দিন পর্যন্ত সমাবেশে নিরাপদ সময় হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে রক্তক্ষরণ শুরু হবার দিনকে প্রথম দিন ধরেই কিন্তু উপরোক্ত হিসাব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে পিরিয়ডের কোন দিন প্রকৃত নিরাপদ দ্বীন নয় উপরোক্ত নিরাপদ সময়ে সহবাস করলেও গর্ভধার হলেও কিছুটা সম্ভাবনা থেকেই যায়। কাজেই অপর কোন জন্মনিয়ন্ত্রণের উপায় যেমন কনডম বা পিল ব্যবহার করা উত্তম।
নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url