ইসলামে নারীর মর্যাদা - ইসলামে নারীর পর্দা ও বিধানসমূহ
মহান আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। আর এই জন্য ইসলামের নারীর মর্যাদা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একজন নারী অনেকজন পুরুষকে জাহান্নামের দিকে ধাবিত করে। তাই ইসলামে নারীর মর্যাদা অতি গুরুত্বের সাথে পালন করতে হবে। ইসলামে নারীর মর্যাদা সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণনা পাওয়া যায়।
আজকে ইসলামে নারীর মর্যাদা সম্পর্কে এই পোস্ট জোরে আলোচনা করা হবে। আর নারীদের প্রকৃত মর্যাদা প্রদানকারী ধর্ম হলো ইসলাম। তাই ইসলাম ধর্ম প্রতিটি মানুষের মনে শান্তি প্রণয়ন করে। আর এই জন্যই ইসলামে নারীর মর্যাদা অধিক। তাই আসুন জেনে নিয়েই ইসলামের নারীর মর্যাদা কি?
পোস্ট সূচিপত্রঃ ইসলামে নারীর মর্যাদা - ইসলামে নারীর পর্দা ও বিধানসমূহ
- ইসলামে নারীর মর্যাদা
- ঘরের বাইরে নারীর কাজ করা বৈধ
- ইসলামে নারীর স্বর্ণ ও রুপার ব্যবহার
- ইসলামে নারীর পর্দা ও বিধানসমূহ
- ইসলামে নারীদের সালাত সংক্রান্ত বিশেষ হুকুম
- সালাতের সময় নারীর সতর ঢাকা
- নারীদের মসজিদে সালাত আদায়
- সর্বশেষ কথা
ইসলামে নারীর মর্যাদা
জাহিলি যুগের সময় নারীদের ওপর অত্যন্ত জুলুম ও অত্যাচার করা হতো। কিন্তু ইসলাম ধর্ম নারীর উপর থেকে এইসব জুলুম দূরীভূত করেছে। এবং পুরুষের ন্যায় ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন-
হে মানবজাতি, নিশ্চয় আমরা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি পুরুষ ও নারী থেকে! নারী পুরুষের সঙ্গী যেমন সে পুরুষের সঙ্গী নেকি প্রাপ্তি ও শাস্তির ক্ষেত্রেও। এছাড়া আল্লাহতালা আরো বলেন-যে মুমিন অবস্থায় নেক আমল করবে, সেটা হোক পুরুষ অথবা নারী, আমরা তাকে পবিত্র জীবনদান করব এবং তারা যা করত তার তুলনায় অবশ্যই আমরা তাদেরকে উত্তম স্থান দান করব।
আরো পড়ুনঃ যাকাত কি - যাকাত কত প্রকার ও কি কি
নারী জাতি হলো মহান আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত। কেননা, আল্লাহতালা নারীকে পুরুষের জীবনসঙ্গিনী হিসেবে মানবজীবন পরিচালনার জন্য পারস্পরিক সহযোগী হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। আর তাই ইসলাম মর্যাদার দিক দিয়ে নারীকে পুরুষের থেকে ভিন্ন ভাবে দেখেনি। বরং ইসলামের আগমনে নির্যাতিত নারী, নিপীড়িত, অবহেলিত সমাজ থেকে নারী পেয়েছে মুক্তির সন্ধান। বর্তমান বিশ্বেও নারীর যথাযথ অধিকার ও সম্মান দেওয়া হচ্ছে না।
তাদেরকে তাদের ন্যায় সংগত অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। পাশ্চাত্যবাদীরা পারিবারিক বন্ধনকে ভেঙে নারী সমাজকে তাদের নিজেদের অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলছে। পাশ্চাত্য সভ্যতা আজ নারীদেরকে অপরের ইচ্ছার পুতুল বানিয়ে তাদেরকে বাজারের পণ্য হিসাবে এছাড়াও ফ্যাশনের প্রতীক হিসাবে দিনে দিনে ব্যবহার করছে এবং খদ্দের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য নারীদের বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করে আসছে। কিন্তু ইসলামে নারীর মর্যাদা অধিক। তবে এখনকার সময়ে এই পাশ্চাত্য সভ্যতা নারীদেরকে তাদের অন্যতম মর্যাদার আসন থেকে নিচে নামিয়ে আনতে শুরু করেছে। যেমনঃ নারীদের নগ্ন ও অশ্লীল ছবি, নারী বিষয়ক নানান অশ্লীল গল্প, গান, নাচ, কবিতা, ও উপন্যাস অশ্লীল সিনেমা ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
আর তাই প্রতিটি মুসলিম নারীর কর্তব্য এই সমস্ত অশ্লীল অসভ্য সমাজ থেকে বেরিয়ে পবিত্র কোরআন দিয়ে জীবন পরিচালনা করতে হবে। তার কারণ হলো ইসলাম শান্তির ধর্ম কেবল একমাত্র ইসলাম ধর্মই একজন ব্যক্তিকে সৎ ও সত্যের পথে পরিচালনা করতে সক্ষম। এজন্য ইসলামে নারীর মর্যাদা ইসলামে নারীর পর্দা ও বিধানসমূহ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ঘরের বাইরে নারীর কাজ করা বৈধ
ইসলামের নারীর মর্যাদা অতি গুরুত্বপূর্ণ আর এই জন্য নারীদের ঘরের ভেতরে থাকার কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। তার কারণ হলো ঘরের বাহিরে অভাব চলাফেরার কারণে নারীদের পর্দা নষ্ট হতে পারে তাই কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে ঘরের বাইরে নারীর কাজ করা বৈধ। যেমনঃ
১. নারী যদি কাজের মুখাপেক্ষী হয় সমাজ তার সেবার প্রয়োজন বোধ করে তাহলে তার উচিত পর্দা মেনে যথাযথ সম্মানের সহিত কাজ করা
২. নারীর মূল দায়িত্ব বাড়ির কাজ শেষে অন্য কাজ করা
৩. নারীদের পরিবেশে কাজ করা সুন্নত। যেমন পুরুষ থেকে পৃথক পরিবেশে নারীদের শিক্ষাদান করা অথবা নারীদের সেবা ও চিকিৎসা আলাদা আলাদা ভাবে প্রদান করা। আর এই সকল শর্তসাপেক্ষে ঘরের বাইরে নারীর কাজ করা বৈধ
৪. অনুরূপ নারীর পক্ষে দ্বীনি ইলম শিক্ষা ও শেখানো অতি জরুরী। আর এই জন্য নারীদের আলাদা পরিবেশ থাকতে হবে। তবে মসজিদ ও মসজিদের মতো পরিবেশে ধর্মীয় মজলিসে অংশগ্রহণ করা এর পক্ষে দোষনীয় নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পুরুষ থেকে পৃথক ও পর্দাশীল থাকা অতি জরুরি। যেভাবে ইসলামের শুরুর যুগে নারীরা কাজ আঞ্জাম দিত দিন শিক্ষা করত এবং মসজিদে হাজির হতো সেই ভাবে এখনকার যুগেও করা উত্তম।
ইসলামে নারীর স্বর্ণ ও রুপার ব্যবহার
সমাজে প্রচলিত রীতি মোতাবেক স্বর্ণ রূপাদারা নারীর সৌন্দর্য গ্রহণ করা বৈধ বলে ঘোষিত। আর তাই ইসলামে নারীর স্বর্ণ ও রুপার ব্যবহার করার কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে পর পুরুষের জন্য এই অলংকার প্রকাশ করা বৈধ নয়, তাদের থেকে আড়ালে রাখবে হবে এছাড়া বিশেষ করে যখন সে ঘর থেকে বের হয় ও পুরুষদের দৃষ্টির নাগালে থাকে। কারণ এতে ফিতনার আশঙ্কা থাকে। আর এই জন্যই নারীর পায়ের নিচ পর্যন্ত কাপড় পড়ার বিধান রয়েছে। এবং নারীর উচিত পায়ের নিচ পর্যন্ত পোশাক পরিধান করা ও পোশাকের আড়ালে থাকা অলংকারের আওয়াজ যেন পুরুষের কান পর্যন্ত না পৌঁছায় সেই সম্পর্কে কঠিন হুঁশিয়ারি রয়েছে। এই জন্য নারীরা স্বর্ণ ও রুপার ব্যবহার করতে পারবে তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে সেটা যেন পরপুরুষের চক্ষুর আড়ালে হয়।
ইসলামে নারীর পর্দা ও বিধানসমূহ
মহান আল্লাহ তায়ালা ইসলামে নারীর পর্দা ও বিধানসমূহ সম্পর্কে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মুসলিম নারীর পোশাক ব্যাপক প্রশস্ত হওয়া উচিত যেন তার সমস্ত শরীর পর পুরুষ থেকে আচ্ছাদিত থাকে যারা তার মাহরাম নয়। এবং পোশাক এমন হতে হবে যেন ঢিলেঢালা হয়। মাহরামের সামনে যে পরিমাণই খুলবে যতটুকু খোলা রাখার রীতি রয়েছে কেবল খোলা রাখা যাবে যেমন তার চেহারা, দুই হাতের কব্জি ও দুই পা। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেন-
জাহান্নামের দু প্রকার লোক থাকবে যাদের আমি এখনো দেখিনি। তিনি বলেন এক সম্প্রদায় তাদের সাথে গরুর লেজের মত চাবুক থাকবে, তা দিয়ে তারা মানুষদেরকে আঘাত করতে থাকবে। আর বস্ত্র পরিহিত উলঙ্গ নারী, নিজেরা ধাবিত হয় এবং অপরকে ধাবিত করে। উটের ঝুকে পড়া কুজের ন্যায় তাদের মাথা থাকবে। তারা জান্নাতের প্রবেশ করবে না এবং তার ঘ্রাণও পাবে না যদিও তার ঘ্রাণ এত এত দূর থেকে পাওয়া যাবে।
পোশাকের ক্ষেত্রে পুরুষের সামঞ্জস্য রেখে নারীদের পোশাক পরা যাবে না। তার কারণ হলো মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষের সমঞ্জস্য রেখে নারীর পোশাক পরার উপর লানত দিয়েছেন। অনুরূপভাবে লানত করেছেন পুরুষের অঙ্গভঙ্গি গ্রহণকারী নারীদের ক্ষেত্রেও। এইজন্য পুরুষ ও নারীর পোশাকে ব্যবধান সৃষ্টিকারী বস্তু তাই যা তাদের প্রত্যেকের সাথে যথাযথ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। এজন্য পুরুষদের জন্য শোভনীয় পোশাক পুরুষরা পরিধান করবে এবং নারীদের জন্য শোভনীয় পোশাক নারীরা পরিধান করবে এটাই শরিয়াতের নির্দেশ। তাহলে আমরা বুঝতেই পারছি যে ইসলামের নারীর মর্যাদা কি এবং ইসলামে নারীর পর্দা ও বিধানসমূহ।
ইসলামে নারীদের সালাত সংক্রান্ত বিশেষ হুকুম
হে আমার মুসলিম নারী সালাতের সকল শর্ত রুকন ও ওয়াজিব সমূহ উত্তম সময়ে আদায় কর। কারণ এ বিষয়ে আল্লাহ তা'আলা মুমিনদের মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেছেন-
আর তোমরা সালাত কায়েম করো, এবং যথাসময়ে যাকাত প্রদান কর, ও আল্লাহ তার রাসূলের আনুগত পোষণ করো। এর নির্দেশ সকল মুসলিম নারীর জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য রয়েছে। কারণ সালাত ইসলামের দ্বিতীয় রুকন। সালাত ত্যাগ করা কুফরি, যা মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। যার সালাত নেই সে নারী হোক কিংবা পুরুষ দিন ও ইসলামে তার কোন অংশ নেই। শর’ঈ কারণ ছাড়া বিলম্ব করা সালাত বিনষ্ট করার শামিল।
আরো পড়ুনঃ কোরবানি কি - কোরবানির ইতিহাস - কোরবানি ঈদ ২০২৩ সম্পর্কে জেনে নিন
আল্লাহ তায়ালা এ সম্পর্কে বলেন-তাদের পরে আসল এমন এক অসৎ বংশধর যারা সালাত বিনষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করল। এজন্য তারা খুব শীঘ্রই জাহান্নামের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তবে তারা নয় যারা তওবা করেছে, ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে। তারাই জান্নাতের প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি কোন জুলুম করা হবে না। এজন্য ইসলামে নারীদের সালাত সংক্রান্ত বিশেষ হুকুম রয়েছে। ইসলামে কেবল নারী নয়, সকল নারী পুরুষ যথাযথ সময়ে সালাত আদায় করতে হবে।
সালাতের সময় নারীর সতর ঢাকা
সালাতের সময় নারীর চেহারা ব্যতীত পূর্ণ শরীর ঢাকা আবশ্যক। কেননা গাইরে মাহারম বা পর পুরুষের দেখার সম্ভাবনা থাকলে চেহারা, হাত ও পা ঢাকা ওয়াজিব। যেমন সালাতের বাইরে ও এসব অঙ্গ পুরুষের আড়ালে রাখা নিয়ম রয়েছে। আর এই জন্য সালাদের সময় নারী সতর ঢাকা আবশ্যক। আর এই জন্য সালাতের সময় মাথা, গর্দান ও সমস্ত শরীর পায়ের পাতা পর্যন্ত ঢাকা জরুরি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
হায়েযা নারীর সালাত ওড়না ছাড়া গ্রহণ করা যাবে না। অর্থাৎ ঋতু আরম্ভ হয়েছে এমন প্রাপ্ত বয়স্কা নারীর সালাত। আর এই জন্য অন্য ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে যে যেন ওড়না দ্বারা মাথা ও গর্দান ঢেকে ফেলা যায়। উম্মে সালমাহ হতে বর্ণিত তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন নারী কি জামা ওড়নায় সালাত পড়তে পারে নিচের কাপড় ছাড়া? এ প্রশ্নে তিনি বলেন-যদি জামাত পর্যাপ্ত হয় যা তার পায়ের পাতা ঢেকে নেয়। এবং ওড়না ও জামা দাঁড়াই সালাত বিশুদ্ধ। এ দুটি হাদিস প্রমাণ করে যে সালাতে নারীর মাথা ও গর্দান ঢেকে রাখা জরুরি যা আয়েশা থেকে বর্ণিত হাদিসের মূল দাবি।
তবে যদি পরপুরুষ না দেখে চেহারা উন্মুক্ত রাখা যাবে এ ব্যাপারে সকল আহলে ইলম একমত পোষণ করে। কারণ নারী একাকী সালাত পড়লে ওড়না ব্যবহার করার নির্দেশ রয়েছে সালাত ব্যতীত অন্যান্য সময় নিজ ঘরে মাথা উন্মুক্ত রাখা বৈধ। এই জন্য সালাতে পোশাক গ্রহণ করা আল্লাহর হক। এর জন্য কোন ব্যক্তির বুকে উলঙ্গ অবস্থায় কাবা ঘর তাওয়াফ করা বৈধ নয় যদিও সে রাতের অন্ধকারে একাকী হোক না কেন। তাহলে আমরা ইসলামে নারীর মর্যাদা সম্পর্কে বুঝতে পারলাম।
নারীদের মসজিদে সালাত আদায়
নারীদের মসজিদে সালাত আদায়ের জন্য ঘর থেকে বের হওয়া বৈধ রয়েছে। কেননা এটি আল্লাহর ইবাদতের জন্য এবং আল্লাহর সন্তুষ্ট রাখার জন্য বের হওয়া বৈধ। মসজিদে পুরুষের সাথে সালাত আদায়ের জন্য নারীদের ঘর থেকে বের হওয়া বৈধ। তবে সবচেয়ে উত্তম হলো নারীদের ঘরে সালাত আদায় করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে আল্লাহর মসজিদ থেকে নিষেধ করোনা অপর হাদীসে তিনি আরো বলেন-
নারীরা মসজিদে যাবে তোমরা তাদেরকে নিষেধ করো না তবে তাদের জন্য তাদের উত্তম হলো ঘরে সালাত আদায় করা। উল্লেখ্য পর্দার জন্য নারীদের ঘরে অবস্থান ও তাতে সালাত আদায় করাই হলো তাদের জন্য উত্তম ব্যবস্থা। ছেলেদের জন্য মসজিদে যাওয়ার সময় নিম্ন আদবগুলো মেনে চলতে হবে। এজন্য নারীদের উচিত হবে পরিপূর্ণ কাপড় পরিধান ও যথাযথ পর্দা দ্বারা আচ্ছাদিত হতে হবে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন-
আরো পড়ুনঃ সুদ কি - সুদের ভয়াবহতা - সুদ হারাম হওয়ার কারণ জেনে নিন ২০২৩
নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে নারীরা সালাত আদায় করত অতঃপর তারা তাদের চাদর দিয়ে আস্থা দিতে হয়ে ফিরে যেত, অন্ধকারের জন্য তাদের কে চেনা যেত না এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে না। এবং অবশ্যই তাদেরকে সুগন্ধি ত্যাগ করে বের হতে হবে। এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
যে নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে সে আমাদের সাথে এশায় উপস্থিত হবে না। তোমাদের কেউ যখন মসজিদে উপস্থিত থাকো তখন সুগন্ধি স্পর্শ করবে না। এইসব দলিল প্রমাণ করে নারীদের মসজিদে যাওয়া বৈধ যদি তার সাথে ফিতনা ও ফিতনাকে জাগ্রতকারী বস্তু না থাকে যেমন সুগন্ধি জাতীয় ইত্যাদি বস্তু। আর এই জন্য নবীর যুগে নারীরা বের হতো ওড়না, কাপড় এছাড়া মোটা চাদর পেচিয়ে। এ জন্য নারীদের উচিত হবে যথাসম্ভব ঘর থেকে বের না হওয়ার যদিও সে নিজের ব্যাপারে নয়। তবে যদি বের হওয়ার একান্ত প্রয়োজন হয় তবে স্বামীর অনুমতি নিয়ে অপরিচ্ছন্ন পোশাকে বের হতে হবে।
সর্বশেষ কথা
ইসলাম নারীকে দিয়েছে পরিপূর্ণ সম্মান এবং মর্যাদা। আর তাই ইসলামে নারীর মর্যাদা অধিক। ইসলাম প্রকৃতপক্ষে শান্তির ধর্ম আর এই ধর্ম মানুষকে শত সত্যের পথে ধাবিত করে। মোটকথা আমাদের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অন্যদের সাথে বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এতক্ষণ পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url