ত্বকে এলার্জি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন
মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি হয়ে থাকে। আর তাই এই সকল বিভিন্ন এলার্জির একটি হল ত্বকে এলার্জি হওয়া। এজন্য ত্বকে এলার্জি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আজকে এই পোস্ট জুড়ে আলোচনা করব। অনেকেই আছে যারা ত্বকে এলার্জি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাদের কথা চিন্তা করে আজকের এই পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে।
আর তাই ত্বকে এলার্জি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হলে পোস্টটি সম্পূর্ণ ধৈর্য সহকারে পড়তে হবে। এর মধ্যে আবার অনেকের আছে, তাদের বিভিন্ন ধরনের শরীরে এলার্জি হয়ে থাকে। আর এই জন্যই আজকের পোস্টটি ত্বকে এলার্জি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব।
ত্বকের এলার্জি হওয়ার কারণ
১. ত্বকে এলার্জি হওয়ার প্রধানত কারণ হলো দূষিত বাতাস, ধোয়া, কাঁচা রঙের গন্ধ, চুনকাম, ঘরের নোংরাধ হলো, পুরোনো ফাইলের জমে থাকা ধুলো, দেহে এলার্জিক বিক্রিয়া করে।
২. দুধে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি থাকে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে গরুর দুধে খুবই বেশি এলার্জি রয়েছে। গরুর দুধে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে গায়ে নানা রকম চুলকানি হতে দেখা দেয়। যেমন বাদাম, কলা, আপেল, আঙ্গুর, ব্যাঙের ছাতা, পেঁয়াজ, এছাড়া ঠান্ডা পানিতেও কোন কোন ব্যক্তির এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে।
৩. ঘাম ও ঘরের নোংরা ধুলো যখন গরমে ঘাম শরীরে জমে তখন ঘরের নোংরা ধুলো শরীরে ঘামের সঙ্গে মিশে গিয়ে এলার্জির সৃষ্টি হয়। আর তাই যারা এলার্জির সমস্যায় ভোগেন তারা ঘরে ধুলো সব সময় এড়িয়ে চলায় ভালো।
৪. ছত্রাকের কারণে ত্বকে এলার্জি হয়, নোংরা ও সাতশেতে ভেজা পদার্থের ছত্রাক জন্মাতে ও দেখা যায়। আর এই ছত্রাক এলার্জি সৃষ্টির প্রধান কারণ
৫. কীট পতঙ্গের কামড়েও এলার্জি হতে দেখা যায়। যেমনঃ মশা, বেলেমাছি, মৌমাছি, ডাসা মাছি, ভেমরুল ইত্যাদি কীট পতঙ্গের কামড়ে এলার্জি সৃষ্টি হয়।
৬. অনেক সময় ওষুধ খাওয়ার ফলে এলার্জি হতে দেখা যায়। অনেকের এলার্জির হওয়ার প্রধান কারণ হলো ঔষধ। এর মধ্যে পেনিসিলিন ও এক্সপিরিন ঔষধ অন্যতম। এছাড়া ও জ্বর, গায়ে ব্যাথা, মাথা ব্যথা, খোস পাচরা, ফোড়া এগুলো আমরা ডক্টরের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ খেয়ে থাকে। আর এর কারনে শরীরে নানা ধরনের এলার্জিজনিত চুলকানি হতে পারে। এমনকি পেনিসিলি ব্যবহারের কারণে মৃত্যু হতে পারে।
৭. টিকা বা ভ্যাকসিন এর মাধ্যমেও ত্বকে এলার্জি হতে পারে।
৮. অতিরিক্ত মেকআপ করার ফলে এলার্জি হয়ে থাকে
এতক্ষণ আমরা ত্বকে এলার্জি হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানলাম, এখন আমরা ত্বকে এলার্জি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব আর তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ত্বকে এলার্জি থেকে রক্ষা পাওয়ার করণীয়
১. ত্বক পরিষ্কার ও এলার্জি মুক্ত রাখতে হলে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার রাখা উচিত। দিনে যতবার সম্ভব মুখে পানির ঝাপটা দিতে হবে। এছাড়া কোন কৃত্রিম প্রসাধনে ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা বেশ উত্তম।
২. বেসন ও শসার রস মিশ্রিত পেস্ট মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর তা ধুয়ে ফেলতে হবে
৩. ময়দা ও গোলাপজল ত্বকের এলার্জি দূর করতে সাহায্য করে
৪. লবঙ্গ ও মেথি একসাথে পিষে পেস্ট করে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখতে হবে তাহলে বেশ উপকার পাওয়া সম্ভব।
৫. ত্বকে বরফ ব্যবহার করলে কার্যকরী ফল পাওয়া সম্ভব
৬. কাগজি লেবুর রস ত্বকে এলার্জি মুক্ত রাখতে সাহায্য করে
৭. নিয়মিত অবশ্যই গোসল করতে হবে, পাশাপাশি শরীরকে সতেজ রাখতে হলে পরিমাণ মতো পানি খেতে হবে ও নিয়মিত ডিওডোরেন্ট ও বডি স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।
৮. খাদ্য তালিকায় সবজি ও ফলমূল ত্বক এলার্জি মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
সর্বশেষ কথা, এলার্জি একটি প্রতিরোধ যোগ্য রোগ। এলার্জি এর অনেক আধুনিক ওষুধপত্র আজকাল আছে যার মাধ্যমে খুব অল্প সময় এই এলার্জির কষ্ট ও চুলকানি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। চিকিৎসক এর উপদেশ ও ওষুধপত্রের মাধ্যমে যেকোনো এলার্জির রোগী সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। আর এই যেন মনে রাখতে হবে এলার্জি হঠাৎ করে যে কোন মানুষের যে কোন সময় যে কোন বয়সে হতে পারে এটাতে ঘাবড়ানোর কোন কিছু নেই। আর তাই যে কারণে এলার্জি হবে সেই কারণটি অবশ্যই পরিহার করতে হবে বা এড়িয়ে চলতে হবে।
নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url