দাঁত ব্যথা কেন হয় - পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি কি দীর্ঘদিন যাবত দাঁতের ব্যথায় ভুগছেন? কিছুতেই কোন ফল পাচ্ছেন না দাঁত ব্যথা কেন হয়, কি খেলে দাঁত ব্যথা হয় এবং পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে আমি আপনাদের সকল তথ্য দিয়ে সাহায্য করবো। আর তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক দাঁত ব্যথা কেন হয়? কোন কোন খাবার খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়। দাঁত শির শির অনুভূত হয়, এবং দাঁত ব্যথার ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক দাঁত ব্যথা কেন হয়।
পোস্ট সূচীপত্রঃ দাঁত ব্যথা কেন হয় - পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় বিস্তারিত দেখুন
- দাঁত ব্যথা কেন হয়
- দাঁত ব্যথা হলে করণীয়
- দাঁত ব্যথার ঔষধ
- পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়
- দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয়
- দাঁতের পাথর দূর করার ঘরোয়া উপায়
- দাঁতের হলুদ দাগ দূর করার উপায়
দাঁত ব্যথা কেন হয়
দাঁতে ব্যথা বা দাঁত ব্যথার অভয়ই বেদনাদায়ক এবং খুব বিরক্তিকর কারণ হতে পারে। দাঁত ব্যথা কেন হয় তার বেশিরভাগ সাধারণ কারণগুলির মধ্যে হল শিকড় বা মারি দুর্বল দাঁতের স্বাস্থ্যবিধি আঘাত বা ট্রমার মত সংক্রমণ এর কারণে হয়ে থাকে। এছাড়া কারণগুলোর মধ্যে আছে মজ্জায় প্রদাহ, দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া ইত্যাদি। ভাঙ্গা দাঁত কামড় দেওয়ার সময় তা থেকে স্থায়ী ব্যথা হতে পারে। দাঁতের ব্যথা যখন হালকা থেকে মাঝারি হতে থাকে তখন একটি উদ্দীপনার পরে ক্ষণস্থায়ী হয়। উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে বলা যায় যে যখন কোন কিছু ঠান্ডা খাবার খাওয়া হয় তখন তা থেকে ক্ষণস্থায়ী ব্যথা শুরু হয় পরে তা চিকিৎসা না করলে স্থায়ী হতে পারে। এছাড়া নেক্রোসিস এবং অ্যাপিক্যাল পিরিয়ডোন্টাইসিস হয়ে যেতে পারে। পরে তা অ্যাবসেসগুলি সাধারণভাবে টনটনে ব্যথা অনুভব হয়।
অ্যাপিক্যাল ফোড়া সাধারণত মজ্জা নেক্রোসিসের পরে দেখা যায়, প্যারিকোরোনাল সাধারণত নিচের আক্কেল মাড়ির দাঁতের তীব্র প্যারিকোরোনাইটিসের সাথে যুক্ত হয়ে দাঁত ব্যথা হতে পারে। তাহলে আমরা জানতে পারলাম যে কেন দাঁত ব্যথা হয়। এবার আমরা জানবো দাঁত ব্যথা হলে করণীয় গুলো কি কি।
দাঁত ব্যথা হলে করণীয়
আমরা সকলেই জানি দাঁত ব্যথা একটি প্রচলিত পুরনো সমস্যা। দাঁতের ক্ষয়, সংক্রমণ, মাড়ির রোগ, জয়েন্টে সমস্যা, মজ্জা ইত্যাদি। কিন্তু দাঁত ব্যাথা হলে করণীয় গুলো কি তা আমরা অনেকেই জানিনা। দাঁত ব্যথা হলে করণীয় হিসাবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কেননা ছোট্ট সমস্যা থেকে বড় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এই সমস্যায় কম বেশি সকলেই সম্মুখীন হয়ে থাকে। তাই আজকে আমরা জানবো কিভাবে দাঁত ব্যথা হলে তার প্রতিকার করব। চলুন জেনে নেওয়া যাক দাঁত ব্যথা হলে করণীয়গুলো কি কি।
আরো পড়ুনঃ যাকাত কি - যাকাত কত প্রকার ও কি কি
১. আলুঃ আমাদের পরিবারে রান্নার কাজে কম বেশি আলুর ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই আলু হতে পারে আপনার দাঁত সমস্যার উপকারি উপাদান। আলু কেটে যদি দাঁতে লাগানো হয় তাহলে দেখবেন ম্যাজিকের মত কাজ করছে এবং ব্যথা কমে যাচ্ছে।
৩. পেয়ারা পাতাঃ ব্যথা কমাতে পেয়ারার পাতা হতে পারে আপনার অন্যতম হাতিয়ার কারণ, পেয়ারা পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুন। তাই ব্যথা কমাতে পেয়ারা পাতা মুখে রাখুন দেখবেন ব্যথা কমতে পেয়ারা পাতা কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।
৪. গোলমরিচ ও লবণঃ গোল মরিচের মধ্যে লবণ মিশিয়ে ব্যবহার করলে ব্যথা অনেকটা কমতে সাহায্য করে, কারণ এ দুটির মধ্যে আছে ব্যাকটেরিয়ারোধী, প্রদাহরোধী এবং অ্যানালজেসিক এর মত উপাদান। আর তাই সমপরিমাণ গোলমরিচ ও পানি একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে, এরপরে আক্রান্ত দাতে সরাসরি পেস্ট লাগিয়ে কয়েক মিনিট মুখে রেখে দিতে হবে। কয়েকদিন নিয়মিত রাখার ফলে দেখবেন খুব সহজেই ব্যথা কমে যাবে।
৫. রসুনঃ দাঁতের ব্যথা কমাতে রসুন একটি ভালো কার্যকারী উপাদান। রসুনের মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক যেটা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৬. লবণ ও গরম পানিঃ যখন দাঁতে ব্যথা উপশম দেখা দেয় তখন যদি আপনি এক গ্লাস গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মেশান এবং এটি দিয়ে কুলি করেন তাহলে ফোলা ও ব্যথা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে। কারণ ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
দাঁত ব্যথার ঔষধ
আমরা সকলেই জানি দাঁতের ব্যথা একটি যন্ত্রণাদায়ক অবস্থার সৃষ্টি করে। আমাদের অনেকেই বিভিন্ন সময় দাঁতের ব্যথায় ভুগতে দেখি। দাঁত ব্যথার অনুভূতি ভিন্ন ধরনের হতে পারে কারণ দাঁতের ব্যথার প্রকৃতি দাঁতের ব্যথার কারণ ও স্থানের উপর নির্ভর করে। আর তাই দাঁত ব্যথা দূর করার জন্য দাঁত ব্যথার ঔষধ বাজারে পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্যথার ঔষধ এর নাম গুলো।
১. প্যারাসিটামল 650mg \ (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)
2.আইবুপ্রোফেন 200/400mg
৩. Fenamic 500 = ১৮ থেকে ২০ বছর বয়স হলে ১ টা করে করে দিনে ২/৩ বার খাবার পরে ৪ দিন।
4. Fenamic 25o= ৫ থেকে ১৫ বছর বয়স হলে প্রতিদিন২/৩ চার দিন।
5. Napa one= ১৮ বছরের হলে একটা করে দুই থেকে তিন বার খাবারের পরে খেতে হবে।
6. Amodis400= একটা করে দিনে দুইবার খাবার পরে
7. Moxacil500= একটা করে দুইবার খাবার পরে দুই দিন
8. tory60= একটা করে প্রতিদিন খেতে হবে
9.Exilok20= একটা করে প্রতিদিন দুইবার খাবার আগে খেতে হবে।
তাহলে আমরা জানতে পারলাম দাঁত ব্যথার ঔষধ এর নাম গুলো। কিন্তু আমাদের সকলেরই উচিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়া।
পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়
শহরে কিংবা গ্রামে দেশে কিংবা বিদেশে ছোট বড় প্রায় সকল মানুষেরই দাঁতের সমস্যায় ভোগে। পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে নিচে নিম্নরূপ আলোচনা করা হলোঃ দাঁতের সমান কোন পোকা থাকে না। এটি হলো এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ডেন্টাল বা দাঁতের ক্ষয় রোগের জন্য হয়ে থাকে। সাধারণত দেখা যায় যে যেকোনো ধরনের মিষ্টি খাবার, চকলেট, চুইংগাম, ক্যান্ডি, ইত্যাদি খাওয়ার ফলে মুখে এক ধরনের এসিড তৈরি হয় যার ধীরে ধীরে দাঁতের ওপরে শক্ত আবারন তৈরি হয় এবং এটা প্রতিনিয়ত পরিষ্কার না করলে ক্ষয় হতে থাকে।
যারা এইসব খাবার বেশি খায় তাদের ক্ষেত্রে এনামেল ক্ষয় হয়ে দাঁতের ছিদ্র বা গর্ত তৈরি হতে দেখা যায়। এবং এক পর্যায়ে দাঁতের মধ্যখানে ক্ষতের মত সৃষ্টি হয় এবং ধীরে ধীরে তাতে খাবারের কোনা জমতে থাকে, এবং এর ফলে দাঁতের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। এভাবে কিছুদিন যাবার পরে যে কোন খাবার বা ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে তাতে শিরশিরানি অনুভূত হয়।
আরো পড়ুনঃ চর্মরোগের লক্ষণ - চর্মরোগ সারানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
দাঁতে গর্ত বা ক্ষতের চিহ্ন দেখা দিলে অতিসত্বর ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া উচিত কারণ, দিন যত যাবে ততই দাঁতের ক্ষতি হবে। আর তাই দেরি না করে দাঁতের গর্ত হওয়া জায়গায় কঠিন বা ফিলিং করে নেওয়া উচিত। আর তা না হলে দাঁতের ক্ষত ধীরে ধীরে গভীরে চলে যায় তাহলে তার ব্যাথার তীব্রতা বেড়ে যায়, এক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যবস্থা হয়ে পড়ে যায়। এজন্য পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় হিসেবে দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করতে হবে, যেন তাতে কোন জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া না জমে থাকে। তাছাড়া এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে যাতে কোন সুগার জাতীয় পদার্থ না থাকে এবং এনামেল রিপায়ের করে। এছাড়াও দাঁত পরিষ্কার করার আরো একটি মাধ্যম হলো সুতা দিয়ে দাঁতের ফাঁকা অংশটা পরিষ্কার রাখা। তাহলে খুব সহজেই জানা গেল যে পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় কিভাবে করা উচিত।
দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয়
দাঁতের ব্যথা বা দাঁতের মাড়ি ফোলা অতি সাধারণ হলেও তার যন্ত্রণাটা কোন অংশেই কম নয়। দাঁতের ব্যথা মানুষকে পাগলের মত করে ফেলে। অনেক সময় দেখা যায় যে শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার ফলে ব্রাশের শক্ত আবরণটি দাঁতের মাড়িতে ঢুকে যাওয়ার ফলে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়।
অনেক সময় দাঁতের ব্যথা উঠলে ঘরোয়া ভাবে তার প্রতিকার করা সম্ভব আজকে আমি আপনাদের মাঝে ঘরোয়া কিছু টিপস শেয়ার করব যা থেকে আপনারা দাঁতের মাড়িতে ব্যাথা হলে করণীয় হিসেবে প্রয়োগ করতে পারেন। এলোভেরা জেল দিয়ে দাঁতের মাড়ি ফোলা ক্ষয় রোধ করা সম্ভব। জিনজিভাইটিস দ্বারা স্ফীত মাড়ি নিরাময়ে লবণাক্ত পানি দিয়ে কুলকুচি করা বা মুখ ধুয়ে ফেলা হলে সবচেয়ে উপকারী ঘরোয়া প্রতিকার। কারণ লবণে প্রাকৃতিক আন্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য আছে, যা দাঁতের ফোলা ভাব কমে যায়। এবং ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টিকারী সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আর এজন্য নিয়মিত লবণ পানি মুখে গলগল করে কুলি করার মাধ্যমে দাঁতের মাড়ি ব্যথা দূর করা সম্ভব। তাহলে আমরা জানতে পারলাম দাঁতের মাড়িতে ব্যাথা হলে করণীয় কি।
দাঁতের পাথর দূর করার ঘরোয়া উপায়
আমরা সকলেই চাই দাঁত সুস্থ ও সতেজ রাখতে। আমরা প্রতিনিয়ত দাঁত নিয়ে নানা রকম সমস্যায় ভুগতে থাকে। অনেক সময় দাঁত ব্যথা, দাঁতে হলদে ভাব, কালো দাগ এছাড়াও দাঁতে পাথর ইত্যাদি দেখা যায়। আর এ কারণেই অনেকের দাঁতে কমবেশি হলুদ বা বাদামী খনিজ পদার্থের আবরণ তৈরি হয়ে থাকে। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলা হয় টাটার। আজকে দাঁতের পাথর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানব- টাটার নামক পদার্থ দাঁতে পিরিওডোন্টাইটিস রোগের মূল কারণ। আর এর ফলে দাঁতের নারী সংকুচিত হয়ে যায় এবং অকালে দাঁত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আরো পড়ুনঃ তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা - তরমুজ খাওয়ার অপকারিতা ২০২৩
দাঁতের পাথর দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে নিয়মিত দাঁতের জমে থাকা টার্টার পরিষ্কার করতে হবে। আর এর জন্য ঘরোয়া উপায় হিসেবে যা যা প্রয়োজন তা হল-অর্ধেক টমেটো, একটি কমলার খোসা এবং লবণ দিয়ে সুন্দর করে পেস্ট করতে হবে এবং এর সাথে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে ব্রাশের সাহায্যে মিশ্রণ করে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এবং দাঁতের যেখানে পাথর হয়েছে সেখানে ভালোভাবে মিশ্রিত দিয়ে বারবার ঘষতে হবে, এই পদ্ধতি কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে দাঁতের পাথর চিরতরে দূর হয়ে যাবে।
দাঁতের পাথর দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে আরো কিছু নিয়ম রয়েছে তা হলোঃ প্রথমে ব্রেকিং সোডা, ডেন্টাল পিক, লবণ হাইড্রোজেন, পার অক্সাইড, পানি, একটি মগ, তুথ ব্রাশ, এছাড়াও অ্যান্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ। আর এগুলো সমন্বয়ে একত্রিয়ে মিশিয়ে কিছুদিন দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এছাড়াও মিশ্রিত পেস্ট দিয়ে কুলকুচি করে নিলে সহজেই দাঁতের পাথর চিরতরে দূর হয়ে যাবে। আপনারা চাইলে দাঁত পরিষ্কারের সময় নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। এবং দাঁত ব্রাশের সময় ওপর-নিচ ব্রাশ করতে হবে, এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন দাঁতের মাড়ি ও দাঁতের মধ্যবর্তী অংশ পরিষ্কার হয়। সর্বশেষ ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে হবে।
দাঁতের হলুদ দাগ দূর করার উপায়
প্রতিটা মানুষের ব্যক্তিত্বকে বহুগুলি বাড়িয়ে দিতে পারে তার মুখের হাসি। আর তাই সাদা ঝকঝকে দাঁত হলে মানুষ মন খুলে হাসতে পারে। কিন্তু দাঁত যদি সাদা থাকার পরিবর্তে হলদে ভাব দেখা দেয় বা বেশি পরিমাণে আকার ধারণ করে তাহলে মানুষ হীনমন্যতায় ভোগে। আর তাই অধিকাংশ মানুষ দাঁতের হলুদ দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে চাই। কিন্তু দাঁতের এই হলুদ সব দূর করার জন্য প্রত্যেকেই প্রচুর চেষ্টা করে থাকে। বাজার থেকে দামি দামি টুথপেস্ট ব্যবহার থেকে শুরু করে এ ডেন্টিস্টের কাছে গিয়েও কোন ফল পাওয়া যায় না। এতসব কাট খড় পুড়িয়ে কিছুতেই কিছু হয় না। আর তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে দাঁতের হলুদ দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানাবো। চলুন জেনে নেওয়া যাক দাঁতের হলুদ দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
১. স্ট্রবেরিঃ স্ট্রবেরি দাঁতের হলুদ দাগ দূর করতে সাহায্য করে। স্ট্রবেরিতে রয়েছে মালিক এসিড ও ভিটামিন সি যা আপনার দাঁতের হলুদ দাগ দূর করে থাকে। আর এজন্য আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই স্ট্রবেরি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে দাঁতের হলদে ভাব দূর করা সম্ভব।
২. বেকিং সোডা ও লেবুঃ আপনি যদি আপনার মুখের হাসি ফিরিয়ে আনতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেকিং সোডা ও লেবু মিশ্রণ করে পেস্ট তৈরি করে দাঁত ব্রাশ করুন। আর এই বেকিং সোডা ও লেবু মিশ্রিত পেস্ট কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে হলদে দাগ দূর হয়ে সাদা হয়ে যায়।
৩. বালিঃ আপনারা চাইলে দাঁতের হলদে দূর করার জন্য দাঁতে বালি ব্যবহার করতে পারেন। পরিমাণ মতো বালি নিয়ে দাঁতের গোড়ায় ঘষা দিয়ে দাঁতের হলদে দাগ দূর করা সম্ভব।
৪. আপেলঃ ফল ও সবজির সাহায্যেও দাঁত পরিষ্কার করা যায়। কচকচে ফল ও সবজি দাঁতের জন্য প্রাকৃতিক টুথপেস্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়ার ফলে দাঁত থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যায়। শুধু তাইই নয়, এই সমস্ত ফল ও সবজিতে উপস্থিত এসিড দাঁতের হলুদ ভাব দূর করতে সক্ষম।
সর্বশেষ কথা, এতক্ষণ এই পোস্টটি পড়ে আপনারা এখন জানতে পারলেন যে দাঁত কেন ব্যথা হয় পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়, কিভাবে দাঁতের হলদে ভাব দূর করা যায় তার সমস্ত বিষয়ে সম্পর্কে। প্রিয় পাঠক এমন সকল নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। এবং আমাদের সাথেই থাকুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url