দ্রুত গর্ভবতী হওয়ার উপায় - গর্ভবতী হওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম
প্রিয় পাঠক আপনি কি দ্রুত গর্ভবতী হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। আপনি কি কারো সাথে শেয়ার করতে পারছেন না। অনেকেই গর্ভবতী হওয়ার উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিনা তাই আপনাদের কথা চিন্তা করে, আপনাদের জন্য কিভাবে খুব সহজেই গর্ভবতী হওয়া যায় সেই সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবো।
তাই আর দেরি না করে কিভাবে দ্রুত গর্ভবতী হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা যায় সেটা জানবো। অনেকেই আছে লজ্জার খাতিরে কারো সামনে শেয়ার করতে পারে না। তাই সঠিক গাইড লাইনের অভাবে গর্ভবতী হওয়ার সময় বেড়ে যায়। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে দ্রুত গর্ভবতী হওয়া যায়।
পোস্ট সূচীপত্রঃ দ্রুত গর্ভবতী হওয়ার উপায় - গর্ভবতী হওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম
গর্ভবতী হওয়ার ঘরোয়া উপায়
আমরা সকলেই জানি একটি মেয়ের জীবনে সবচেয়ে সন্তোষজনক ও আনন্দময় অনুভূতি হল তার পেট থেকে একটি সন্তানের জন্ম দান করা। কিন্তু যখন একজন মহিলা সন্তান জন্ম দিতে ব্যর্থ হয় তখন তার জীবনের নেমে আসে নানা রকম দুঃখ-কষ্ট বেদনা। কিন্তু যখন কিছু মহিলা সহজে গর্ভবতী হয়ে ওঠে তখন অন্যদিকে কিছু মহিলা আছে যাদের গর্ভধারণ করতে অনেক সময় লাগে বা অপেক্ষা করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
তবে যাই হোক যখন আপনি আপনার স্বামী কিম্বা আপনার অভিভাবকদের সম্মতিতে বাচ্চা নিতে চান বা দ্রুত গর্ভবতী হতে চান তবে আজকের আলোচনা আপনাদের সাহায্য করবে কিভাবে দ্রুত গর্ভবতী হওয়ার ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা যায়। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে দ্রুত গর্ভবতী হওয়ার ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে হবে।
খেজুর
খেজুর হল ভিটামিন এ, বি, ই, আইরন সহ অন্যান্য খনিজ সমৃদ্ধ খাবার। খেজুর পুষ্টি গুনে সমৃদ্ধ শক্তির আধার যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে এবং গর্ভবতী চলাকালীন সময়ও। এবং মাসিক হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত ১০ থেকে ১২ টি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করলে দ্রুত গর্ভবতী হওয়া সম্ভব
বেদেনা
বেদেনা পেলভিক অঞ্চলে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য ভীষণভাবে কার্যকরী ফল হিসেবে ভূমিকা পালন করে। বলা যায় যে এগুলি স্ত্রী প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং জরায়ুর আস্তরণের পুরুত্ব বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করে যা গর্ভপাতের সম্ভাবনা কমায়। সমান পরিমাণে বেদনা গাছের ছাল এবং বীজ নিয়ে গুঁড়ো করে পাউডার বানিয়ে নিন এরপর কিছু সপ্তাহের জন্য হাফ চা চামচ করে এই পাউডার খাওয়া শুরু করুন।
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি গর্ভধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ ভিটামিন সি নারীদের জনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
দারচিনি
দারচিনি মসলাটি মহিলাদের ডিম্বাশয় এর কার্যকারিতা কে আরো ভালোভাবে হতে সাহায্য করে এবং এটি মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব্য নিবারণের জন্য সাহায্য করে। দারচিনি পলিস্টেটিক ওভারিয়ান সিন্ডোম যেটি মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব্য েএর অন্যতম মুখ্য কারণ- এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। আপনি চাইলে প্রতিদিন এক চা চামচ দারচিনি পাউডার এক কাপ গরম পানির সাথে মিশিয়ে পান করতে পারেন।
রসুন
গর্ভধারণের জন্য আরেকটি অন্যতম কার্যকরী প্রাকৃতিক উপায় হলো রসুন। মহিলাদের প্রজননের উন্নয়নের জন্য রসুন সকলের কাছে সুপরিচিত। আপনি যদি প্রতিনিয়ত ৪ থেকে ৫ কোয়া রসুন খেতে পারেন বা রসুনের গুলো চিবিয়ে খাবার পর এক গ্লাস গরম দুধ পান করেনঅ তাহলে আপনার গর্ভাবস্থার উন্নতি ঘটবে।
ফটকিরি
মহিলাদের দ্রুত গর্ভধারণের ক্ষেত্রে ফটকিরি অন্যতম একটি ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। আপনার যদি নিয়মিত মাসিক হয় কিন্তু আপনার গর্ভধারণ হতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন সে ক্ষেত্রে ফটকিরি আপনার প্রতিকার হতে পারে। আপনি ছোট এক টুকরা ফটকিরি নিতে পারেন এবং সেটিকে তুলো দিয়ে ঢেকে দিবেন। আর রাত্রিবেলায় সেটিকে আপনার যোনির ভেতরে প্রবেশ করাবেন।
আরো পড়ুনঃ চর্মরোগের লক্ষণ - চর্মরোগ সারানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
এরপর তুলোটি পরিষ্কারভাবে বেরিয়ে আসা পর্যন্ত এই রুটিন মেনে চলুন। এবং তুলোর উপরে কোন রকম দুধেল স্তর ছাড়া যদি সাদা আস্তরণ টির অনুপস্থিতি হয় তাহলে এটি গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুতির সংকেত প্রদান করে। তাহলে আমরা খুব সহজেই জানতে পারলাম গর্ভবতী হওয়ার ঘরোয়া উপায় কি। এছাড়া আরো কিছু উপায় রয়েছে তা হলো
অ্যালকোহল পরিত্যাগ করা
যদিও নিরাপদ মাত্রা সম্পর্কে কোন গবেষণা করা হয়নি তবে সেক্ষেত্রে মহিলারা গর্ভবতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন তাদের অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে অ্যালকোহল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর এটিও সুপারিশ করা হয় যে ডিম্বস্ফোটনের পর মহিলাদের মাসিক চক্রের দ্বিতীয় অর্ধে মহিলাদের অ্যালকোহল পান না করতে বলা হয়।
যোনির অবস্থান
যৌন মিলনের সময় পুরুষ ওপরে থাকবে এবং উপরের অবস্থানটি সর্ব বৃহত্তম এবং এটি সেরা পদ্ধতি বলে মনে করা হয়। যৌন মিলনের পর অবিলম্বে বিছানা থেকে লাফিয়ে নামা থেকে বিরত থাকতে হবে। উপরোক্ত আপনার মাজার নিচে একটি বালিশ রাখা এবং ওজনতার পরে আপনার পাপ প্রায় ২০ মিনিট ধরে উপরের দিকে তুলে রাখা শুক্রাণু ও ডিম্বানুর মধ্যে প্রবেশ করার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
গর্ভবতী হওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম
আমাদের পার্তাহিক জীবনে কেউ না কেউ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে থাকে। আর তাই কেউ চাইলে কোন নিয়ম ছাড়াই গর্ভধারণ করতে পারছে অন্যদিকে অনেক দম্পতি রয়েছে যারা চাইলেও গর্ভধারণ করতে পারছে না কারণ তাদের সঠিক গাইড লাইনের অভাবে। তাই আজকে আমি আপনাদেরকে গর্ভবতী হওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম সম্পর্কে জানাবো।
গর্ভবতী হওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হলো ডিম্বস্ফোটনের সময়কালে, কারণ যে সময়কালে ডিম্বাশয় থেকে একটি পরিপুক্ত ডিম মুক্ত হয়ে যায়। এছাড়া যদিও শুক্রাণু যৌনতার পর ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে পরিপক্ক ডিম্বাণু ডিম্বস্ফোটনের পর মাত্র 12 থেকে 24 ঘন্টার জন্যই কেবল বাঁচতে পারে। আর এর মানে হল যে মহিলা ডিম্বাণুটি মুক্তি পাওয়ার পর মাত্র 12 থেকে 24 ঘন্টার মধ্যেই নিষিদ্ধ হতে পারে। আর তাই আপনার গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য ডিম্বস্ফোটনের আনুমানিক দুই থেকে তিন দিন আগে যৌন মিলন করা উত্তম।
আরো পড়ুনঃ ধাতু রোগ সারানোর উপায় - ধাতু রোগ কেন হয়
এছাড়াও গর্ভবতী হওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম হলো গর্ভধারণের জন্য কিছু যৌন পদ্ধতি পালন করা যেতে পারে। যৌন মিলনের বহুল প্রচলিত পজিশন হল নারীর উপরে পুরুষ থাকবে। আর এই পজিশনে থাকাকে মিশনারি পজিশন বলা হয়। মিশনারী পজিশনে শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করেন গবেষকরা। আর এর কারণ এতে নারী কোনরকম নড়াচড়া ছাড়াই বিছানাতে পিঠ লাগিয়ে শুয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু যদিও বৈজ্ঞানিক কোন নিয়ম না।
দ্রুত গর্ভবতী হওয়ার উপায়
অনেকেই দ্রুত গর্ভবতী হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। এবং অনেকেই বলে থাকেন দীর্ঘদিন শারীরিক মিলনের পর ও গর্ভবতী হওয়া সম্ভব হচ্ছে না তারা অনেক দুশ্চিন্তায় পড়ে যান আর এই জন্য সঠিক পরামর্শ নিয়ে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আর তাই আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো যে দ্রুত গর্ভবতী হওয়ার উপায় কি তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে দ্রুত গর্ভবতী হওয়া যায়।
গর্ভধারণ করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে যে ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য সময় কখন এবং সে সম্পর্কে এছাড়া মাসিকের সঠিক ধারণা রাখতে হবে যেন আপনি চাইলে সেই সময় মাথায় রেখে আপনার সঙ্গীর সাথে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হতে পারেন।
একজন নারীর ডিম্বাশয় মাসে একবার ডিম্বানু তৈরি করতে সক্ষম। যখন এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় শুধুমাত্র তখনই বীর্যের সংস্পর্শে এলে ডিম্বাণুটি নিষিক্ত হতে পারে। কিন্তু শুক্রানো নারীর গর্ভে গিয়ে প্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। একজন নারীর মাসিক শুরুর দিন থেকে গুনে গুনে সাত দিন পর্যন্ত এই ডিম্বাণুপ পুরোপুরি তৈরি হওয়ার সুযোগ নেই বলা চলে। তবে যাদের মাসিক অনিয়ম তাদের কথা আলাদা। কিন্তু যাদের প্রতি মাসে ঠিকঠাক মতো সঠিক সময়ে মাসিক হয় তারা এই বিষয়টা মাথায় রাখতে পারে। এক্ষেত্রে ঈমান খেলে এই হিসাব কাজ করবে না এটাও মনে রাখতে হবে।
দ্রুত গর্ভবতী হওয়ার উপায় আরো হলো স্বাভাবিক মাসিক হয় যাদের তাদের পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত তার সঙ্গীর সাথে মিলিত হলে ও এ থেকে গর্ভধারণ করার সুযোগ খুবই কম। তবে গর্ভবতী হতে চাইলে এর পরের ১০ দিন তার সঙ্গীর সাথে একবার করে মিলন হলে কোন সমস্যা না থাকলে সেই মহিলা গর্ভবতী হবেন। কারণ এই সময়ের ভেতরে ডিম্বাণুটি পরিপূর্ণ প্রস্তুত হয়।
পুরুষের শুক্রাণু জরায়ু বা ডিম্বনালীতে দুই থেকে তিন দিন বেঁচে থাকতে সক্ষম। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা নিষিক্ত হওয়ার অবস্থানে থাকে। এরপরে সেখানে আর কোন শুক্রাণু কাজ করতে পারে না। তাই ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য দিনে শারীরিক মিলন না করে মাসিক শেষ হওয়ার পর একদিন পরপর শারীরিক মিলন করতে হবে। যে কারণে ডিম্বাণু প্রস্তুত হলে শুক্রানো মিলিত হতে পারে। এবং জরায়ুতে অপেক্ষমান শুক্রাণু ও সেটি করতে পারে।
আপনাদের একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে গর্ভবতী হওয়ার জন্য শারীরিক মিলনের ব্যাপারে হিসেব রাখতে হবে। কারণ অনিয়ন্ত্রিত মিলন পরিত্যাগ করতে হবে। এছাড়া মাসিকের সঠিক সময় হিসেব রেখে নিয়ম মেনে শারীরিক মিলন করলে খুব সহজেই গর্ভধারণ করা যাবে। শারীরিক মিলনের সম্পূর্ণ আনন্দ বজায় রেখেই গর্ভধারণের চেষ্টা করতে হবে। এতে স্বামী স্ত্রীর উভয়ের জন্য পুরো ব্যাপারটা আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। এছাড়াও গর্ভধারণের প্রধান এবং অন্যতম শর্ত হলো নিয়মিত শারীরিক মিলন করা।
নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url